তরুণদের ইবাদতের মর্যাদা ও গুরুত্ব

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: মানুষের জীবনে যৌবনকালকে স্বর্ণযুগ বলা হয়। যৌবনকাল মানুষের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ঝুঁকিপূর্ণও। যৌবনকে যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং কাজে লাগাতে পারে তার মর্যাদা অনেকগুণ বেড়ে যায়। এ জন্য মানুষের জীবনে যৌবনকালের গুরুত্ব অনেক বেশি।
মানুষের যৌবনকালই হলো কর্ম সম্পাদন, ক্যারিয়ার গঠন ও নেক আমল করার মুখ্য সময়। এ সময়টিকে যে কাজে লাগাবে সে উন্নতি করতে পারবে। আর যে এ সময়টিকে হেলায় নষ্ট করবে সে পুরো জীবনকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের পূর্বে গণিমত (সুবর্ণ সুযোগ) মনে কর। তোমার যৌবনকে কাজে লাগাও বার্ধক্য আসার পূর্বে, সুস্থতাকে কাজে লাগাও অসুস্থতার পূর্বে, সচ্ছলতাকে কাজে লাগাও অসচ্ছলতার পূর্বে, অবসর সময়কে কাজে লাগাও ব্যস্ততার পূর্বে, আর জীবনকে কাজে লাগাও মৃত্যু আসার পূর্বে। (মুস্তাদরেকে হাকিম, হাদিস : ৭৮৪৬)
ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন, আমি যৌবনকে এমন বস্তুর সঙ্গে তুলনা করি, যে বস্তুটি ক্ষণিকের জন্য আমার বগলের নিচে থাকে, তারপর তা হারিয়ে যায়। যৌবনকাল ইবাদত বন্দেগী ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মুখ্য সময়। এটি বেশিদিন স্থায়ী হয় না। যৌবন মানুষের জীবনে একজন আগন্তুক মেহমানের মতো। সেটি মানুষের জীবনে একবার আসে আবার খুব দ্রুত চলে যায়।
আল্লাহ কিয়ামতের দিন মানুষকে তার যৌবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে বলবেন, তুমি তোমার যৌবনকে কোথায় ব্যয় করলে এবং কিভাবে তার ক্ষয় করলে?
রাসূল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া কোনো আদম সন্তান আল্লাহর সম্মুখ হতে পা সরাতে পারবে না। তার জীবনকে কোথায় ব্যয় করেছে। যৌবনকে কোথায় ক্ষয় করেছে, সম্পদ কোথা থেকে অর্জন করেছে এবং কোথায় সে সম্পদ ব্যয় করেছে। আর যা জেনেছে সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করছে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৬)
যৌবন কাজে না লাগিয়ে অবহেলায় নষ্ট করলে দুনিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে এবং আখিরাতে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং এ সময়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া ও কাজে লাগানোর চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.