ঢামেক এলাকার মোড়ে মোড়ে আন্দোলনকারীরা, আতঙ্কে সাধারণ রোগীর স্বজনরা

ঢাবি (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে চানখারপুল ও বার্ন ইউনিটের আশপাশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা গেছে।
এই প্রতিবেদন লেখার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তারা।
তৌহিদ নামে বিজয় একাত্তর হলের এক শিক্ষার্থী বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আমাদের ৪০০-এর বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেউ ন্যাশনাল হাসপাতালে আছে, কেউ সলিমুল্লাহ মেডিক্যালে আছে। অধিকার চাইতে গিয়ে যেহেতু আমার ভাইবোনদের রক্ত ঝরেছে, এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
লাঠি হাতে শহীদুল্লাহ হলের এক শিক্ষার্থী বিটিসি নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা জানে কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। এই দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান অনস্বীকার্য। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্মুখে ছিলেন। ২০১৮ সালেও রাজপথে ছিলেন। আজও আমরা রাজপথে আছি। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও এই স্বাধীন দেশে আবারও ছাত্ররা তাদের অধিকার আদায়ে এক হয়েছে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকেও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিতে দেখা গেছে।
এদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অভ্যন্তরেই দুই দফায় লাঠিসোঁটা রড ও কুড়াল নিয়ে আন্দোলনকারী আহতদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তার ঢামেকে রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্সও ভাঙচুর করে। এতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ঢামেকে অবস্থানরত সাধারণ মানুষ।
সাধারণ রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে প্রবেশ করতেই কারা যেন হামলা শুরু করেছে। আমরা চিৎকার করে বলেছি আমরা কিছু জানি না, তবু তারা আমাদের অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করেছে। পরে আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালে প্রবেশ করি। হঠাৎ আক্রমণে আমরা খুব ভয় পেয়েছি। এখনো ভয়ে আছি।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাবি (ঢাকা) প্রতিনিধি আবির সাদাত অন্তিম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.