ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অবকাশ নাই – তথ্যমন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো: পৃথিবীতে বহু নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেক সময় বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে শাস্তিও ভোগ করেছে। এছাড়াও যৌথভাবে নোবেল পাওয়ায় সে অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে নোবেল লরিয়েটরা একে অন্যের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কোন মামলা করেনি।
গ্রামীন টেলিকমের সুবিধা বঞ্চিত ভুক্তভোগী কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সে মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত গতকাল তাকে দণ্ডিত করেছে। এ নিয়ে দেশে বিদেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে। সুতরাং, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অবকাশ নাই আজ ২ জানুয়ারি নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের সাথে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে প্রেসব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১ দশকেরও বেশি সময় ধরে কর ফাঁকি, কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার বিভিন্ন অনুমোদিত সংস্থা থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ আছে। গ্রামীণ ব্যাংকের লাভের ৫ শতাংশ কর্মচারীদের মাঝে ভাগ করে দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা কখনো দেওয়া হয়নি। এ কারণে শ্রমআইনের ধারা ৪, ৭, ৮ ও ১১৭ এবং ২৩৪ এর অধীনে কর্মচারীরা মামলা দায়ের করেছিল। সে মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাকে সাজা দিয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরো বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের অধ্যাদেশ অনুসারে ৬০ শতাংশের মালিক ছিল গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, বাকি ৪০ শতাংশের মালিক ছিল সরকারসহ অন্যরা। পরে এটি সংশোধন করে সরকারের শেয়ার কমিয়ে ৭৫ শতাংশ নিজেদের করায়ত্ত¡ করে নিয়েছিল। এক তদন্তে দেখা গেছে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৯৬.৭১ শতাংশ নিজেদের করায়ত্ত¡ করেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ১৯৮৩ সালের ৭ এবং ২ ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র সরকার সময়ে সময়ে ব্যাংকের মূলধন বৃদ্ধি করতে পারে। অথচ গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সে আইন অমান্য করে এককভাবে এ কাজটি করেছে। ১৪ আগস্ট ১৯৯০ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করেন। ব্যাংক নিম্নলিখিত শর্ত সাপেক্ষে ড. ইউনূসকে অনাপত্তি দেয়। সে শর্তে উল্লেখ আছে একজন এমডির বয়স ৬০ বছরের বেশি হতে পারবে না। কিন্তু ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে তার বয়স ৫৯ বছর হওয়া সত্তে¡ও সে পরিচালক বোর্ডের ৫২তম সভায় আইন ভঙ্গ করে এমডির দায়িত্ব নেন। এটি গ্রামীণ ব্যাংকের অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদের ৪ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স. ম. জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.