ঢাকা প্রতিনিধি: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে নবমবারের মতো পালিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। বুধবার (২২ অক্টোবর) ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, এখন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। চালকদের দক্ষতা ও মানোন্নয়নের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করাই এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের কথাও জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা, স্থায়ী পঙ্গুত্বে ভোগা ব্যক্তি ৩ লাখ টাকা এবং আহত ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। এই আর্থিক সহায়তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে ড্রাইভিং স্কুলের কোনো বিকল্প নেই। সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ স্টিয়ারিংয়ে না বসলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে, বলে মত দেন তিনি।
বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়ক গড়তে হলে মানসম্মত প্রশিক্ষণ, সচেতনতা এবং আইন প্রয়োগের সমন্বয় জরুরি।
তাদের মতে, কেবলমাত্র আইন কঠোর করলেই হবে না; চালক, যাত্রী ও পথচারী সবার মধ্যে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করাই হতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর কার্যকর উপায়।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালন করা হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো. রাজু আহমেদ। #

















