ঢাকাপ্রতিনিধি: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যেভাবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন তার প্রায় ৫০ ভাগ টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। এখন থেকে প্রতি মাসে তিন কোটির বেশি ভ্যাকসিন আমরা দিতে পারব, সেই লক্ষ্যে আমরা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি। এ পর্যন্ত প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ মিলে প্রায় ৬ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৮ বছরের বেশি সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১২-১৭ বছর বয়সীদেরকেও টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, দ্রুতই সেই কাজটিও শুরু করা হবে।
আজ বুধবার (২০ অক্টোবর ) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে উপজেলা হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি প্লানিং অফিসারদের (ইউএইচএফপিও) প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে, থাকবে। আমরা ২১ কোটি টিকা কিনেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সাত কোটি টিকা দেওয়ার কথা বলেছে, এবার মিটিংয়ে তারা টিকার সংখ্যা দ্বিগুণ করে দেওয়ার কথা বলেছে। কাজেই টিকার কোনো অভাব হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮ বছরের ওপরে যারা আছে তাদের সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। সুরক্ষা অ্যাপস এ কোনো রকম দেখা দিলে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকেও আমরা ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হলেই তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সংসদ সদস্য মো. এবাদুল করিম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেসাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.