ডিবি থেকে ফিরেই সুর বদলালেন দুই সমন্বয়ক

ঢাকা প্রতিনিধি: কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে থেকে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ডিবি থেকে ফিরেই সুর বদলে গেলো এই দুই সমন্বয়কের।
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, ‘কথা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করবেন না, মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন না। আপনারা কথা রাখেননি। আপনারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর আঘাত করেছেন। সারা দেশে আমার স্কুল কলেজের ভাইবোনদের ওপর লাঠিচার্জ করেছেন। যাকে ইচ্ছা তাকে জেলে পাঠিয়েছেন। আন্দোলনকারীকে খুঁজে না পেলে বাসা থেকে ভাইকে তুলে নিয়েছেন, বাবাকে হুমকি দিয়েছেন। মাশরুর তার উদাহরণ’।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা একটিবারের জন্যও এ আন্দোলনে এসেছেন তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না, গ্রেপ্তারের ভয়ে থাকে। এমন অনেকে আছে যাদের পরিবার এখনো তাদের খোঁজ পায়নি। এমন তো হওয়া উচিত ছিল না! কোথায় মহাখালীর সেতু ভবন আর কোথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়! অথচ আপনারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে মহাখালীর সেতুভবনে হামলার জন্য গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলেন। সঙ্গে আছেন আসিফ মাহতাব স্যার, মাশরুরসহ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অসংখ্য শিক্ষার্থী।’বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে সারজিস আলম তার ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেন।
অন্যদিকে আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহও তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের মুক্তি তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটিও মুক্তি পাবেন। এই গণগ্রেফতার কেবল নিরপরাধ মানুষের অধিকার হরণ নয়, বরং আমাদের সমগ্র সমাজের উপর চাপিয়ে দেওয়া একটি নিষ্ঠুরতার প্রতিফলন। এটি মুক্তচিন্তা ও মানবাধিকারের প্রতি এক ভয়ানক আঘাত। আমাদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র ব্যক্তির মুক্তির জন্য নয়, বরং বৈষম্য, নিপীড়ন, গণগ্রেফতার এবং ছাত্র নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া এই দুই ছাত্র নেতার পোস্ট ঘিরে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াসহ নানা কৌতূহলের দেখা দিয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মারুফ সরকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.