ডিপিডিসিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা

 

সাভার প্রতিনিধি: গ্রাহক হয়রানির প্রমাণ পাওয়ার পর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-ডিপিডিসিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দুইজন গ্রাহকের অভিযোগের পর গণশুনানি শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রবিবার এই রায় দেয়।

অভিযোগকারী দুই জনই রাজধানীর বনশ্রীর বাসিন্দা। এর মধ্যে মধ্য নন্দীপাড়া বড় বটতলা দুই নং স্কুল রোডের ৮১/২ বাড়ির রনি ইসলামের অভিযোগ, তিনি ২০১৫ সালে তার ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের সব টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি তাকে জানানো হয় ২০১৫ সালে তিন হাজার ৭৭২ ইউনিটের বিল কম জারি হয়েছে।

এজন্য রনি উসলামকে নতুন করে ৩৮ হাজার ৮১৮ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। নইলে তার বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করার সতর্কতাও জানানো হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে করা অভিযোগে রনির প্রশ্ন, নিয়মিত বিদুৎ বিল পরিশোধের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে একটি প্রত্যয়পত্রও দেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে। তাহলে কীভাবে তিন বছর পরে এসে তার বকেয়া বিল থাকে।

বনশ্রীর ব্লক-ই ৪ নম্বর সড়কের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান খান মুন্নার অভিযোগ, তারা বাসার বিদ্যুৎ বিল প্রতিমাসে ১০০ থেকে ১৩০ ইউনিট খরচ হতো। তাকে পাঁচশ থেকে সাতশ টাকা বিল পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের জুলাই মাসের তার মিটার রিডিংয়ে ব্যবহৃত ইউনিট শূন্য দেখিয়ে ১২১ টাকা বিল করা হয়। কিন্তু আগস্ট মাসে ৩৬৫ ইউনিট দেখিয়ে বিল করা হয় ২০৫৮ টাকা। অথচ তার বিদ্যুৎ বিল ব্যবহারে তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। ডিপিডিসির ট্যারিফ হার অনুযায়ী আব্দুল হান্নান খান মুন্না ‘এ’ এবং ‘বি’ এর গ্রাহক। যেখানে তার বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট প্রতি বিল করা হতো পাঁচ টাকা ১৪ পয়সা। কিন্তু কারচুপি করে তাকে ‘ডি’ ইউনিটে নিয়ে বিল করা হয় পাঁচ টাকা ৬৩ পয়সা।

ঢাকা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘বনশ্রীর দুই বাসিন্দার অভিযোগ পাওয়ার পর তিনবার শুনানি শেষে ডিপিডিসিকে আড়াই লাখ করে মোট পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।’

‘আমরা মিটার পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিলের সকল কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। সেখানে ডিপিডিসির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।’#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.