ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: ডিজিটাল যুগেও প্রতারনা! জামালপুরের ইসলামপুর নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে কামারপাড়া গ্রামের ফজলু হক আকন্দ কবিরাজের খপ্পরে পরে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। মানুষ আর কত প্রতারিত হবে ভন্ড দের কাছে! এর কি বিহিত ব্যবস্থা নেই সরকার ও প্রশাসনের কাছে। এ ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ফজলু হক আকন্দ মানুষ ঠকানো এই প্রতারক মুস্কিল আসান প্রলোভনে মওকা বুঝে নানা সমস্যার রক্ষা কবজ বিক্রি করে। সব সমস্যার সমাধান এক জায়গায় স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য, প্রেমে ব্যর্থতা, পড়ালেখা অমনোযোগী, অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করা, শত্রু দমন, নানাবিধ সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন তিনি। এই প্রতারকদের জাদুর পরশ হাতছানি দিয়ে ডাকছে বিপদগ্রস্ত মানুষদের। হয়তো সমস্যা সমাধান হবে এই আশায় ছুটে যান তাঁরা।
এলাকাবাসী বিটিসি নিউজকে জানান, এই কাজে তার কাছে থাকা জ্বিন তাকে সহযোগিতা করে বলে তিনি রোগীদেরকে বোঝাচ্ছেন। জ্বিনের সাহায্যে এসব তাবিজ বা মাটিতে তুলে এনে সমস্যার সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেন। তিনি সাক্ষাতে নাজরানা ২শত তো থাকছেই কাজ বুছে ৮-১০ হাজার টাকার নেন। এলাকায় এই ভন্ড কবিরাজের নারী কেলেঙ্কারির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ইসলামপুর পৌর শহরের দক্ষিন দরিয়াবাদ গ্রামের আবেদা বেগম জানান. পেটের ব্যথা সমস্যা নিয়ে গেলে তার কাছে প্রতারিত হয়েছি। কটাপুর গ্রামের সালমান মিয়া বলেন- বউ নিয়ে সমস্যা সমাধান পাওয়ার আশায় অনেক টাকা নিয়ে প্রতারণ করেছে। এছাড়াও টনকি বাজারের জুয়েল মিয়া, পচাবহলা গ্রামের রাসেল মিযা,জামথল গ্রামের মছিরন বেগম তাবিজ, কবজের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশায় প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিয়দের চেয়ারম্যান রোমান হাসান বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার জানা মতে ফজলু হক আকন্দ ভন্ড জ্বীনের কবিরাজি ট্রেড লাইসেন্স দেইনি। এই ভন্ড ও প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তৌহিদুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.