ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার-প্রয়োগে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

ঢাকা প্রতিনিধি: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সংযুক্তি ও প্রযুক্তি কাজে লাগাতে দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। দেশব্যাপী উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ এবং ডিজিটাল সংযোগ সহজলভ্য করতে কাজ করছে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির প্রসার ও প্রয়োগে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের ট্রেডবডিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বৈশ্বিক ইন্টারনেট ফোরাম অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেট (এফোরএআই) আয়োজিত বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অবদানবিষয়ক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে তুলনা করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কোনো কোনো দেশ ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কেবলমাত্র শহরের মানুষের জন্য নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। দেশের ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগের আওতায় আসছে।
ইন্টারনেটের দাম সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম অনেক কম। ৬০ টাকায় এক এমবিপিএস (মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়। অথচ ২০০৬ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে ২৭ হাজার টাকা এবং বর্তমানে এক দেশ এক রেটের আওতায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায় মাত্র ৬০ টাকায়।
দেশে ইন্টারনেট প্রসারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ শতাংশ এলাকায় ফোরজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম করা হয়েছে এবং ৫জি চালু করা হয়েছে।
মোবাইল ইন্টারনেটের দাম তুলনামূলক একটু বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেলিটকের মাধ্যমে ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতা তৈরি করে সেটিও গ্রাহকের স্বার্থের অনুকূলে আনার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেটের আনলিমিটেড প্যাকেজও চালু হয়েছে। টেলিটক এটি প্রথম শুরু করে এবং অন্য অপারেটররাও সেটা কার্যকর করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দেশে প্রযুক্তির লেটেস্ট ভার্সন ফাইভ-জি চালু করাকে ডিজিটাল সংযুক্তি বিকাশের যুগান্তকারী উদ্যোগ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে এ প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিকাশে মাইলফলক স্থাপিত হবে।
অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের বাংলাদেশ বিষয়ক সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমদ, এফোরএআইয়ের গ্রোবাল পলিসিবিষয়ক কর্মকর্তা এলিনোর এবং এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বয়কারী আনজু বক্তব্য দেন।
বক্তারা হাইটেকসহ ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি এর যথাযথ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি এর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.