ডায়াবেটিস রোগীদের মাসিক খরচ কমাবে ‘হিউমালগ’ ইনসুলিন

বিশেষ প্রতিনিধি: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ইনসুলিন একটি বহুল ব্যবহৃত চিকিৎসা পদ্ধতি। এই ইনসুলিনটি ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত করতে হয়। ফলে এর খরচ নিয়ে রোগীদের নাভিশ্বাস দীর্ঘদিনের।
এই অবস্থায় আমেরিকার বিখ্যাত ইলাই লিলি অ্যান্ড কোম্পানির হিউমালগ ২০০ কুইকপেন নামক একটি ইনসুলিন বাজারে এনেছে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ইনসুলিনটি ডায়াবেটিস রোগীদের মাসিক খরচ অনেকটাই কমিয়ে দেবে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, হিউমালগ ২০০ কুইকপেন (ইনসুলিন লিসপ্রো ২০০ ইউনিট/মিলি) টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকরী। ইনসুলিনটি আমেরিকার ফুড ও ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদিত।
বক্তারা জানান, এই ইনসুলিনটি কুইকপেন ডিভাইসে পাওয়া যাবে যাতে প্রচলিত বোলাস ইনসুলিনের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ ইনসুলিন রয়েছে। ফলে একজন রোগীর মাসে কম সংখ্যক পেনের প্রয়োজন হবে। এতে করে রোগীদের মাসিক খরচও কমে আসবে। এই ইনসুলিন পেনটির ব্যবহার ও প্রয়োগ পদ্ধতি খুবই সহজ। যে সব রোগীরা খাবার খাওয়ার সময় ব্যবহারের জন্য একটি সহজ ও আরামদায়ক ইনসুলিন চিকিৎসা ব্যবস্থা খুঁজছেন তাদের জন্য হিউমাল ২০০ কুইকপেন হবে কার্যকর সমাধান।
হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের হেড অব মার্কেটিং সেলিম পারভেজ বলেন, ‘বাজারে একেকটা ইনসুলিনের একেক রকম দাম। তবে হিউমালগ নামক যেই ইনসুলিনটা আমরা বাজারে নিয়ে এসেছি, এই গ্রুপের বাজারে অন্য যতসব ইনসুলিন আছে, তাদের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম দামে আমরা বাজারে বিক্রি করছি। যাদের জন্য উচ্চমাত্রার ইনসুলিন লাগে, আমি বলব আমাদের ইনসুলিনটি তাদের জন্য খুবই উপযোগী হবে। কারণ দামটা অনেক কম।’
হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ডিএমডি ও সিইও হালিমুজ্জামান বলেন, হিউমালগ ২০০ টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি উচ্চ ঘনত্বের দ্রুত কার্যকরী এনালগ ইনসুলিন। এই ইনসুলিনটি খাবার গ্রহণকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য। এটি কুইকপেন ডিভাইসে পাওয়া যাবে যাতে রয়েছে মোট ৬০০ ইউনিট নতুন উচ্চ ঘনত্বের বোলাস ইনসুলিন লিসপ্রো। এটি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিসের অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন-খাবার নিয়ন্ত্রণ, ব্যায়াম ও মেটফরমিন জাতীয় ওষুধ সেবন ইত্যাদি অনুসরণ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং তাদের সবার চিকিৎসার ধরনও আলাদা। ডায়াবেটিস একটি ক্রমবর্ধমান ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এতে বাংলাদেশের অনেক ডায়াবেটিক রোগীই তাদের রক্তের সুগারের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছেন না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.