ডাক্তার ও অন্যান্য পরিচয় দিয়ে ১৮টি বিয়ে করে গ্রেফতার

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: রমেশ চন্দ্র সোয়াই নামে এক প্রৌঢ় ১৮টি বিয়ে করে গতসপ্তাহে ভুবনেশ্বরে গ্রেফতার হন। ধৃতকে জেরা করে জানা যায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে মোটাটাকা আদায় করত পাত্রীপক্ষ থেকে। সামাজিক লোকভয়ে কেউ আর প্রশাসনের দ্বারস্থ হননি।
বিগত ৪৮ বছর ধরে একেরপরএক বিয়ে করে অবশেষে গ্রেফতার হলেন। কখনো তিনি বিধুপ্রকাশ সোয়াই কখনো রমনীরঞ্জন সোয়াই সহ বিভিন্ন নামে প্রকাশিত হয়ে টাকা হাতাতে একেরপরএক বিয়ের ফন্দি মাথায় আঁটেন বছর ষাটেকের এই কেতাদুরস্ত নিপাট এই ভদ্রলোক।
তদন্তকারিরা দেখেন বিচিত্র নামে এক এক জায়গার নামের সাথে জড়ানো মহিলাদের নাম।ম্যাডাম দিল্লি,ম্যাডাম অসম, ম্যাডাম ইউপি সব ঠিকানা অনুযায়ি নাম সেভ করেন প্রতারক।
ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উমাশঙ্কর দাস জানিয়েছেন, ১৯৮২সাল থেকে প্রথম বিয়ে করে ২০০২ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন এক চিকিৎসক কন্যাকে। বর্তমানে ওই কন্যা কর্পোরেট সংস্থার চিফ ম্যাডিকেল অফিসার। দুপক্ষের মিলিয়ে পাঁচ সন্তান বর্তমান। ২০০২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সহ সাত রাজ্যে ১৬টি বিয়ে করেছেন। ২০১৮-র বিয়ে দিল্লিতে একটী স্কুল শিক্ষিকার সাথে হয়। কোনওভাবে এই মহিলা জানতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
তারপরেই গত বছর জূলাই মাসে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে নেমে পর্দা ফাঁস হতেই একে একে কুকির্তি নজরে আসে। প্রতারক একাকি মহিলাদের এবং বিবাহবিচ্ছিন্নাদের টার্গেট করতেন। বিয়ের পর টাকা হাতিয়ে নানা অজুহাতে সম্পর্ক ছিন্ন করতেন এই প্রতারক।
ধৃতের কাছ থেকে ১১টি এটিএম কার্ড,চারটি আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। আর্থিক প্রতারনার দায়ে দুবার গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ব্যাঙ্ক ঋণ দুর্নীতির জন্যও গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.