ডাক্তার’র পোস্টিং থাকলেও বাস্তবে নেই

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলার গ্রামাঞ্চলে ১৩টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার পোস্টিং থাকলেও তারা কর্মস্থলে না যাওয়ায় মানুষ সেবা পাচ্ছে না। এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ দেওয়া ডাক্তাররা কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, আবার কেউ সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে ডিউটি করেন।
জেলার সদর উপজেলায় হরিশকরপুর ও সাধুঞাটি, শৈলকুপা উপজেলায় কচুয়া ও আবাইপুর, কালীগঞ্জ উপজেলায় বারোবাজার ও কোলাবাজার, কোটচাঁদপুর উপজেলায় পাঁচলিয়া, তালশার ও জয়দিয়া এবং মহেশপুর উপজেলায় মান্দারবাড়িয়া, যাদবপুর, তালসার ও শ্যামকুড়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।
এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ব্রিটিশ আমলে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয়। নাম ছিল দাতব্য চিকিত্সালয়। পরিচালনা করত জেলা পরিষদ। সে সময় ডাক্তার ও কম্পাউন্ডার থাকত। গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেত। দেশ স্বাধীনের পর এসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। একজন ডাক্তার ও স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়।
দীর্ঘ দিন এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার ছিল না। ২০১৪ সালে ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তাররা কদাচিৎ কর্মস্থলে যেতেন। অনেকে নানা অজুহাতে উপজেলা বা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে কাজ করতেন।
এরপর করোনা শুরু হলে তারা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান না। শৈলকুপা উপজেলার কচুয়াতে সুন্দর দোতলা ভবন বিশিষ্ট উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এখানে একজন ডাক্তার পোস্টিং আছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করেন।
এ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণে জমিদাতা আবদুল ওয়াদুদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ডাক্তার পোস্টিং থাকলেও তিনি আসেন না। প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা পেতে শতাধিক রোগী আসে। একজন উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এটি চালান। বারোবাজার উপ-স্বাস্থাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা হাসেম অলি বলেন, শুনেছি বড় ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার দেখা পাই না। অন্যগুলোতেও একই অবস্থা।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনার কারণে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলো থেকে ডাক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের স্ব স্ব স্থানে ফেরত পাঠানো হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মো: আনোয়ার জাহিদ জামান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.