ট্রাম্প-পুতিন রসায়ন, রহস্য ফাঁস করে যা বললেন রিপাবলিকান নেত্রী

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট’ আখ্যা দিয়ে তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে সমর্থন দিয়েছেন ইন্দো-মার্কিন রিপাবলিকান নেত্রী নিকি হ্যালি। সেইসঙ্গে তিনি ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন পুতিন কোনোরকম আক্রমণ বা যুদ্ধ করেননি। ট্রাম্প-পুতিনের এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি ট্রাম্পকে তাদের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরই হ্যালি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রিপাবলিকান নেত্রী এ সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বারাক ওবামার সমালোচনা করেন। পাশাপাশি এই দুই ডেমোক্র্যাট নেতার তুলনায় ট্রাম্পকে একজন ‘কঠোর’ নেতা হিসাবে প্রশংসায় ভাসান এবং বলেন, ট্রাম্প এমন একজন বিশ্বনেতা যিনি যুদ্ধ প্রতিরোধ করতে পারেন।
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে হ্যালি বলেন, ‘বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়া আক্রমণ করেছিলেন। আর জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পুতিন পুরো ইউক্রেন আক্রমণ করেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন পুতিন কিছুই করেননি। কোনো আক্রমণ বা যুদ্ধ- কিছুই না।’
ট্রাম্পের প্রশংসা করে হ্যালি আরও বলেন, ‘যখন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প ক্ষমতায় ছিলেন, তখন পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করেননি। কারণ তিনি জানতেন যে, ট্রাম্প একজন কঠোর নেতা। আর একজন শক্তিশালী বা কঠোর প্রেসিডেন্ট যুদ্ধের অনুমতি দেন না, যুদ্ধ প্রতিরোধ করেন।’
সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক এই গভর্নর গত মার্চের সুপার টুয়েসডে-তে পরাজিত হওয়ার আগ পর্যন্ত রিপাবলিকান শিবিরে ট্রাম্পের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
নিকি হ্যালি তার বক্তব্যে ট্রাম্পের মেয়াদের পররাষ্ট্র নীতিরও প্রশংসা করেন। পাশাপাশি ট্রাম্পের ওপর হামলার পর নিজেদের ঐক্যের প্রতি জোর দেন। কনভেনশনে তিনি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনই সময় আমাদের মধ্যকার মতপার্থক্যগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখার এবং আমাদের একত্রিত হওয়ার।সেইসঙ্গে আমাদের দেশকে শক্তিশালী করার।
ট্রাম্পের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে হ্যালি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘শত্রুদের’ বিজয়, যখন তারা দেখে যে আমেরিকানরা একে অপরকে ঘৃণা করে। ৫২ বছর বয়সি এই রিপাবলিকান নেত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, তারা আজকে সেটাই দেখতে পাচ্ছে, তা কলেজ ক্যাম্পাসে হোক বা পেনসিলভানিয়ার বাটলারের সমাবেশে। কিন্তু আমরা শক্তি ও ঐক্যের মাধ্যমে সেই ভয়গুলোকে জয় করতে চাই। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.