বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরেই কিয়েভে যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো।
শুক্রবার (৪ জুলাই) এতে কমপক্ষে ২৩ জন আহত হয়েছে এবং রাজধানীজুড়ে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া মোট ৫৩৯টি ড্রোন এবং ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বিমান হামলার সাইরেন, কামিকাজে ড্রোনের শব্দ এবং বিস্ফোরণের শব্দে প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, পরিবারগুলো আশ্রয়ের জন্য ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনগুলোতে জড়ো হয়। শহরের কেন্দ্রস্থলে তীব্র ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ড্রোনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের বাইরে বাসিন্দারা দাঁড়িয়ে ঘটনাস্থলটি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কেউ কেউ কাঁদছিলেন, আবার কেউ কেউ নীরবে তাকিয়ে ছিলেন।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক্স-পোস্টে বলেছেন, ‘উল্লেখযোগ্যভাবে, গতকাল আমাদের শহর ও অঞ্চলে প্রথম বিমান হামলার সতর্কতা প্রায় একই সঙ্গে প্রচারিত হতে শুরু করে, যখন মিডিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে একটি ফোনকল নিয়ে আলোচনার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। আবারও, রাশিয়া দেখাচ্ছে, যুদ্ধ বন্ধ করতে তাদের কোনো ইচ্ছা নেই।
কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় কিয়েভের ১০টি জেলার মধ্যে ছয়টিতে প্রায় ৪০টি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, যাত্রীবাহী রেলওয়ে অবকাঠামো, পাঁচটি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন, ক্যাফে এবং অনেক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পোল্যান্ড জানিয়েছে, কিয়েভের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে তাদের দূতাবাসের কনস্যুলার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কর্মীরা অক্ষত রয়েছেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.