বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিরোধ কাটিয়ে নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ওভাল অফিসে দুই নেতার ঐতিহাসকি এই বৈঠক ঘিরে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে ও পরে ট্রাম্পকে একাধিকবার ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জোহরান মামদানি। শুক্রবার ওভাল অফিসে বৈঠকের পর এক সাংবাদিক জানতে চান, মামদানি কি এখনও বিশ্বাস করেন ট্রাম্প আসলে ফ্যাসিবাদী? এসময় ৩৪ বছর বয়সি নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এই বিষয়ে আগেই কথা বলেছি।’
এসময় ট্রাম্প হেসে বলেন, ‘ঠিক আছে। আপনি এমনটা বলতেই পারেন। এতে আমার আপত্তি নেই। ব্যাখ্যা করার থেকে বলে দেয়াটা সহজ। আমি কিছুই মনে করছি না।’ পরে পাল্টা হেসে নরম স্বরে মামদানি বলেন, ‘ঠিক আছে, হ্যাঁ।’
৪ নভেম্বরের নির্বাচনে মামদানির ঘোরবিরোধী ছিলেন ট্রাম্প। একে অন্যকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তবে শুক্রবারের বৈঠকটি ছিল একেবারেই ভিন্ন। এদিন মামদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ট্রাম্প।
নবনির্বাচিত মেয়রকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, নিউইয়র্কের মেয়র হওয়া অনেক বড় ব্যাপার। তিনি আশা করেন, মামদানি দুর্দান্ত মেয়র হবেন। আর মামদানি বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
বৈঠকে নিউইয়র্কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অপরাধ প্রবণতা, আবাসন সংকট, জীবনযাত্রার ব্যয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার উদ্বেগ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প ও মামদানি।
ট্রাম্প বলেন, আমাদের একটা দারুণ বৈঠক হলো। খুবই ভালো, খুবই ফলপ্রসূ। আমাদের একটা মিল আছে। আমরা দুজনই চাই আমাদের এই প্রিয় শহরটা ভালোভাবে এগিয়ে যাক।
তিনি আরও বলেন, আমি তাকে (মামদানি) অভিনন্দন জানিয়েছি। তিনি সত্যিই অসাধারণ একটি নির্বাচনের লড়েছেন। প্রাথমিক থেকেই খুবই দক্ষ ও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। তিনি সবাইকেই খুব সহজে হারিয়েছেন।
এসময় মামদানি বলেন, প্রেসিডেন্টের সাথে আমার বৈঠকটা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। আমরা দুজনই নিউইয়র্ক সিটিকে ভালোবাসি। এই শহরেই আমাদের মিল। আর এই শহরের মানুষকে কীভাবে সাশ্রয়ী জীবন ফিরিয়ে দেয়া যায় সেটাই ঠিল আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। #















