ট্রাম্পের সমালোচকদের বাড়িতে বাড়িতে বোমা

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে ডাকযোগে বোমা পাঠানোর অভিযোগে ফ্লোরিডা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম সিজার সায়োক।

সিজারের বিরুদ্ধে ডাকযোগে বিস্ফোরক পাঠানো সাবেক প্রেসিডেন্টদের হুমকি দেয়াসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হচ্ছে।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সিজারকে ফ্লোরিডার প্লানটাটিওন শহরের একটি গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে জানান, একটি প্যাকেজে সিজারের আঙুলের ছাপ পাওয়া যাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিজারের ৪৮ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা ধরনের আইনহীনতা, বিশেষ করে রাজনৈতিক সহিংসতা সহ্য করবো না।

তিনি বলেন, কারও রাজনীতিক বিশ্বাস যাইহোক না কেন, এটা সবার জন্য একটা শিক্ষা হওয়া উচিত যে, আমরা আপনাকে বিচারের আওতায় আনবো।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিজারের ধরনের কাজকেঘৃণ্য এবং তার আমাদের দেশে কোনও স্থান নেইবলে মন্তব্য করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সিজার ফ্লোরিডা অ্যাভেনটুরাতে বসবাস করেন। নিউ ইয়র্ক শহরে তার পরিচিত লোক রয়েছে এবং তিনি একজন রিপাবলিকান সমর্থক।

এর আগে ২০০২ সালে মিয়ামিডেড কাউন্টিতে বোমা হামলার হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার হন। পরে এক বছরের প্রোবেশন পান।

তারও আগে ১৯৯১ সালের চুরির দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সিজার। এছাড়া তিনি প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েকদিনের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ঠিকানায় বোমা পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। এসময় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির ঠিকানায় ১৪টি বিস্ফোরক ডিভাইস পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল শুক্রবার সকালেও ফ্লোরিডা এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে দুটি বিস্ফোরক পাওয়া যায়। দিনের আরও পরের দিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আরও দুটি বিস্ফোরকের সন্ধান পাওয়া যায়। সেগুলোর একটি ছিল ডেমোক্রেটদের তহবিলে দানকারী টম স্টেইয়ারের বাসার ঠিকানা। আর অন্যটির গন্তব্য ছিল ডেমোক্রেট সিনেটর কামালা হ্যারিসের বাসার ঠিকানা। যদিও দুটি প্যাকেজই আটকে দেয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন।

এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ধরনের বোমা পাঠানোর ঘটনা ঘটলো যখন আর কয়েকদিন পরই দেশটি মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।(সূত্র: বিবিসি) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.