টেকনাফ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অশনিসংকেত

কক্সবাজার প্রতিনিধি: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছেই। মিয়ানমারে তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসন না হওয়ায় রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এর সর্বশেষ প্রমাণ পাওয়া গেল গতকাল বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর)।

জানা যায়, ‌‘‘কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্রসহ মো: রবিউল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে আর্মড ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা।

গতকাল বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের আই ব্লকের পশ্চিমে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ এ যুবককে আটক করা হয়।

একপর্যায়ে আসামী রবিউল ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি সাটারগান ও ৩৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী খালেক বাহিনীর সদস্য বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। রবিউল দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে পাহাড়ে অবস্থান করে ডাকাতি অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত রয়েছে।’’

এ খবর নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য শঙ্কার। আমরা শুরু থেকেই এ বিষয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে আসছি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে স্বাভাবিকভাবেই সন্ত্রাসবাদের উত্থান হবে, যা কখনোই কাম্য নয়।

আর এ সন্ত্রাসবাদের শিকার শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়াসহ পুরো বিশ্বই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রের ঝনঝনানি এ অশনিসংকেতের বার্তা বহন করে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে। কারণ, এ সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে তা বিশ্বের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।

আমরা বরাবরের মতো আবারও বলতে চাই, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সৃষ্টি, এর সমাধানও মিয়ানমারকে করতে হবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার খেসারত বাংলাদেশের পক্ষে বছরের পর বহন করা সম্ভব নয়।

বিশ্বব্যাপী এ ইস্যুকে সামনে রেখে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.