টিকে থাকতে বিশ্বমানের সেনাবাহিনী চায় চীন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাও সেতুংয়ের পর সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য ক্ষমতা ধরে রেখেছেন চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক ও চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে টিকে থাকতে ও বৈশ্বিক শক্তি বৃদ্ধিতে বিশ্বমানের সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চায়।
এই লক্ষ্য পূরণ ও চীনের জাতীয় পুনরোজ্জীবন তৈরির লক্ষ্যে ‘সমন্বিত কৌশলগত সক্ষমতা’ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। 
বুধবার দেশটির পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ১৪তম অধিবেশনের ফাঁকে পিপলস লিবারেশন আর্মির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন শি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির খবরে বলা হয়, বৈঠকে শি জানান, একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ গঠন, জাতীয় পুনর্জাগরণ ও  একটি বিশ্বমানের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণকে তরান্বিত করতে এই নীতি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
অক্টোবরে কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনের পর ‘একীভূত জাতীয় কৌশল এবং কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি’ নামে পরিচিত নীতিটি সামনে আসে। ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের অধীনে বৃহত্তম পরিকল্পনা, সমন্বিত সংগ্রহ, সম্পদের বরাদ্দ ও সমন্বয়ের ওপর জোর দেয় এই নীতি। বুধবারের বৈঠকে এ নীতি বাস্তবায়নে পিএলএ প্রতিনিধিদের জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শি বলেন,  ‘নীতি বাস্তবায়ন ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রগতি অর্জন করতে হবে।’ চীনের জাতীয় পরীক্ষাগারগুলোর  সঠিক ব্যবহারের আহ্বানও জানান এ বৈঠকে। একটি বড় দেশের প্রতিরক্ষার জন্য একটি উপযুক্ত জাতীয় রিজার্ভ সিস্টেম তৈরির গতি বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি।
বেইজিংয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের একটি হলো চীনের আইনসভা ও অন্যটি রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থার বার্ষিক সভা। সভাগুলোয় অংশ নিয়ে থাকে সারা দেশ থেকে আসা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির হাজার হাজার প্রতিনিধি। চলতি সপ্তাহের এনপিসির বৈঠকে শি’কে তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ও স্বসস্ত্র বাহিনীর প্রধাণ হিসাবে নির্বাচন করা হবে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাও করছে চীন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.