টিকাবিরোধীদের বোঝাচ্ছেন ধর্মীয় যাজকরা!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কজার্মানির জাক্সেনে করোনার নীতি বিরোধীদের তোপের মুখেও টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করছেন স্থানীয় ধর্মীয় যাজকরা। গতকাল সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) অঙ্গরাজ্যটির কেমনিটজ শহরের গির্জাগুলোতেও টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার মাধ্যমে ভ্যাকসিন গ্রহণে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে বলে বিশ্বাস দেশটির প্রশাসনেরও।
জার্মানির রাজনীতি বা সমাজনীতি কিংবা প্রশাসনিক যেকোনো উদ্যেগে সর্বমোট ১৬টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ১৫টি একদিকে আর জাক্সেন অন্যদিকে। ব্যতিক্রম ছিল না করোনার মতো মহামারিতেও। দেশটিতে করোনা শুরুর পর থেকেই সরকারের করোনা বিধিনিয়ম এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের বিপরীতেই অবস্থান ছিল অঙ্গরাজ্যটির বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের। এমনকি গেল মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণের ভয়াবহতার মধ্যেও করোনার নীতিবিরোধীরা সমাবেশ করেছে সরকারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।
এতকিছুর পরও করোনা থেকে বাঁচাতে এবার অঞ্চলটির সরকারি উদ্যোগের সাথে ধর্মীয় যাজকরাও মহামারির বিষয়ে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করছেন স্থানীয় অধিবাসীদের।
রেভারেন্ড ক্রিস্টফ হের্বস্ট বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের অঞ্চলের লোকজনের চিন্তাভাবনা সবসময় অন্যরকম। এমনকি করোনাভাইরাসকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে কিংবা টিকা নিতে হবে কি না, এসব বিষয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আগ্রহ অনেকটা কম। এমন নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রীয় উদ্যেগের পাশাপাশি আমরা ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে কিছুটা হলেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যদি সমাজের কোন উপকার হয়।
ইয়োহানিটিয়ার আঞ্চলিক প্রধান পিয়েরে সোয়েলনার বলেন, বেশ ভালো লাগছে যে আমাদের গীর্জাগুলোও এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি সবার সহযোগিতায় এই সংকটকে মোকাবিলা করতে পারব।
টিকা কার্ক্রমে অংশীদার হতে পেরে খুশি স্থানীয় অধিবাসীরাও। যদিও এমন কার্যক্রমে প্রশাসনের উদ্যোগটা সবচেয়ে বেশি থাকা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
জার্মানির ৭০ শতাংশ নাগরিক করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় এলেও জাক্সেনে করোনার সচেতনতার পাশাপাশি টিকা গ্রহণের হার সর্বনিন্ম, যা ভাবিয়ে তুলছে ওলাফ শলজ সরকারকে। তাই করোনা নীতি বিরোধী সমাবেশ ও অনর্থক জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার আহবান সরকারের। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.