টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে ঢুকছে মহুরী নদীর পানি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: ৬ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জলবদ্ধতার কবলে ছিল নোয়াখালী। আটকে থাকা বৃষ্টির পানির সঙ্গে লড়াই শেষ না হতেই আজ বুধবার দুপর থেকে পার্শ্ববর্তী ফেনীর জেলার মহুরী নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এর ফলে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বিস্তৃতি এলাকা।
এসব উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।
আজ সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিস্তৃত এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট ডুবে আছে হাঁটু ও কোমর পানিতে। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলো জমি। ভেসে গেছে কয়েক হাজার পুকুরের মাছ।
এলাকাবাসীর ধারণা, একদিকে ফেনী জেলার মুহুরী নদীর পানি ও অন্যদিকে কুমিল্লা অঞ্চলের গোমতি নদীর পানি ডাকতিয়া নদী হয়ে নোয়াখালীর দিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে। এ অবস্থায় সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও কবিহাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গত ৫ দিনে জেলায় ৪৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর কারনে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
এ দিকে জেলার ৮টি উপজেলায় ৩৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত ৭ হাজার ৭৭০ জন বানভাসী মানুষ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়াও স্বজন ও পরিচিতজনদের বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছে হাজার হাজার মানুষ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.