টানা দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়বে রোহিত শর্মার দল। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি সিরিজের ৩য় টেস্ট জিতে ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
কোনো সমীকরণ ছাড়াই ফাইনাল নিশ্চিত করতে ভারতকে এই সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিততে হতো। দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে ভারতের সঙ্গে ছিল শ্রীলঙ্কাও। তার জন্য কিউইদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিততে হতো শ্রীলঙ্কাকে। তবে ভারতের কাজ অনেকটাই সহজ করে দেয় নিউজিল্যান্ড।
প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের নাটকীয় জয়ে ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যায় শ্রীলঙ্কা। শেষ বল থ্রিলারে শ্রীলঙ্কাকে হারায় নিউজিল্যান্ড। এর ফলেই ভারতের ফাইনাল নিশ্চিত হয়।

ক্রাইস্টচার্চে বৃষ্টির জন্য শেষ দিনের প্রথম সেশনের খেলা ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু হলে জয়ের জন্য ৫৩ ওভার হাতে ছিল নিউজিল্যান্ডের সামনে। শেষমেশ ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় পায় কিউইরা। ৭০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।
শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্টের ফলাফল শেষদিনে দুলেছে পেন্ডুলামের মতো। শেষদিনে জেতার জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৫৭ রান। হাতে ছিল নয় উইকেট। শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছিল না। আর এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা হারলে বা ড্র করলে এমনিতেই ফাইনালে জায়গা করে নিতো রোহিত শর্মার দল।
আহমেদাবাদ টেস্টে জয় পেলে ভারতের পয়েন্ট হবে ৬২.৫ শতাংশ। তবে এই টেস্ট ড্র হলে ৫৮.৭ শতাংশ পয়েন্টে থাকবে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কা যদি কিউইদের সাথে সিরিজের দুই টেস্টেই জয় পেতো তবে তাদের পয়েন্ট হত ৬১.১ শতাংশ। এমনটা হলে ফাইনালে পৌঁছে যেতে পারতো শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্ট হারের পর শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্ট জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে ৫২.৭। একটা ম্যাচ জিতলে আর একটা ম্যাচ ড্র হলে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট হত ৫৫.৫৫ শতাংশ। ফলে দুই ম্যাচ জেতা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না শ্রীলঙ্কার।
আগামী জুন মাসের ৭ তারিখ থেকে শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ওভালের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.