টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে এখনো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি। যে কারণে আসনটি ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও গুঞ্জন। বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যার যার মত করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন।
টাঙ্গাইল হচ্ছে ঢাকা বিভাগের বৃহত্তম জেলা। জনসংখ্যার দিক থেকেও দ্বিতীয়। পুরো উত্তরবঙ্গের সাথে রাজধানী ঢাকার সংযোগ স্থল হলো টাঙ্গাইল হয়ে যমুনা সেতু। ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলো সিটি কর্পোরেশন হওয়াসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিল্প- কারখানা স্থাপন হলেও টাঙ্গাইল সেদিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। ঢাকার সন্নিকটে একটি ভাইটাল জেলা হয়েও টাঙ্গাইলের যথাযথ উন্নয়ন হয়নি বলে মনে করে টাঙ্গাইলের মানুষ। বিশেষ করে উপযুক্ত জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের অভাবে দীর্ঘদিন যাবত টাঙ্গাইল সদর কোন মন্ত্রী পায়নি। ফলে ফাঁপা কিছু উন্নয়ন হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
দীর্ঘদিন মন্ত্রিত্ব বঞ্চিত টাঙ্গাইল সদরবাসী এবার একজন মন্ত্রী প্রত্যাশা করে। একজন জাতীয় পর্যায়ের আইকনিক নেতাকে তারা সদর আসন থেকে জাতীয় সংসদে দেখতে চায়। সেক্ষেত্রে বিএনপির দলীয় এবং সুইং ভোটারদের অনেকেরই প্রত্যাশা, টাঙ্গাইল সদর আসনের উন্নয়নে এবার সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কাছে পাবেন তারা।
জাতীয় পর্যায়ে ছাত্রদল, যুবদলকে নেতৃত্ব দিয়ে বর্তমানে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যেই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল পৌরসভা ও বারটি ইউনিয়নে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও গণ সংযোগ চালিয়েছেন। পাশাপাশি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দুর্নীতি সহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সেগুলো কঠোর হস্তে দমন ও সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ভোটারদের।
রাজনীতির বাইরেও বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ডাঃ মহিউদ্দিন মিয়া চ্যারিটিবল ট্রাস্ট এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত জন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। পরিবেশ রক্ষায় ইতিমধ্যেই তিনি লক্ষাধিক বৃক্ষরোপণ করেছেন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তিন বছরে এক কোটি বৃক্ষ (গাছ) রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। নদী- নালা ,খাল -বিল, খেলার মাঠকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখা তার অন্যতম লক্ষ্য।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা অনেকেই অকপটে বলেন- এবার আমরা সদরে একজন ডাকসাইটে নেতা চাই। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু হতে পারে সেই প্রত্যাশিত একজন। যার মাধ্যমে আমরা টাঙ্গাইল সদর একজন আইকনিক নেতাকে পেতে পারি। যিনি সংসদ সদস্য হতে পারলে পরবর্তীতে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। টাঙ্গাইলকে আবার রাজনীতির জাতীয় স্তরে প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কোন বিকল্প নাই।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু বলেন ,আমরা টুকু ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করেছি। তিনি দলের একজন ত্যাগী নেতা। সেই সাথে তিনি সাহসী ও জনবান্ধব একজন মানুষ । তাই তৃণমূল বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে চায় ধানের শীষের প্রার্থী হোক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী বলেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার কর্ম এবং আচরণের জন্য পশ্চিম টাঙ্গাইলের মানুষ তাকে সাদরে গ্রহণ করেছে। টাঙ্গাইল সদর তথা পশ্চিম টাঙ্গাইলবাসির পক্ষ থেকে আমি চাই -সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র মত একজন জাতীয় নেতা টাঙ্গাইল সদরে
এমপি হিসেবে আসুক।
টাঙ্গাইল জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী বলেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু একজন দায়িত্বশীল লিডার । সে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, যুবদলকে নেতৃত্ব দিয়ে এখন বিএনপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আমলের আন্দোলন- সংগ্রামে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সুলতান সালাউদ্দিন সমগ্র দেশের একজন প্রিয় মুখ। এজন্য আমি অবশ্যই চাই -সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে টাঙ্গাইল সদর আসন থেকে নমিনেশন দেয়া হোক।
টাঙ্গাইল জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল হক রাশেদ বলেন, টাঙ্গাইল সদরের তৃণমূলের চাওয়া হচ্ছে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। যিনি টাঙ্গাইল সদরে বিগত ৩০ বছর যাবত কাজ করে যাচ্ছেন। সমগ্র বাংলাদেশ এবং টাঙ্গাইলে অসংখ্য নেতা-কর্মী তৈরি করেছেন যিনি। টাঙ্গাইলের যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সহযোগিতা পায়নি-তেমন কোন অঞ্চল খুঁজে পাওয়া যাবে না। শিক্ষা ,সংস্কৃতি বা যেকোন প্রয়োজনে টাঙ্গাইলের মানুষ সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সহযোগিতা বা সাহায্য পায়নি- তেমন কেউ বলতে পারবে না। টাঙ্গাইলকে ঘিরে যারা স্বপ্ন দেখেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথিকৃৎ হিসেবে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকেই তারা ভেবে থাকেন। তাই তৃণমূলের চাওয়া হচ্ছে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল সদরের এমপি হোক।
টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালেহ মোহাম্মদ শাফি ইথেন বলেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জিয়া পরিবারের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক। যা তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন দেখে বোঝা যায়। তিনি একজন নির্যাতিত, ত্যাগী ও দক্ষ সংগঠক। একজন কর্মবীর ও কর্মীবান্ধব জাতীয় নেতা। টাঙ্গাইল পাঁচ সদর আসনকে উন্নয়নের মডেল আসন হিসেবে দেখতে চাইলে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কোন বিকল্প নাই। যিনি ইতিমধ্যেই তার বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ বলেন, টাঙ্গাইলের উন্নয়নের জন্য, জনগণের উন্নয়নের জন্য সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে প্রয়োজন। আমরা দেখেছি, বিগত দিনে বন্যা, করোনা বা যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং মানুষের বিপদ -আপদে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জনগণের পাশে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করেছেন। টাঙ্গাইলের তরুণদের মেধা বিকাশে খেলাধুলাসহ সাহিত্য -সংস্কৃতির প্রসারে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন তিনি। সুতরাং টাঙ্গাইলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুলতান সালাউদ্দিন টুকু অপরিহার্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন- আমি কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী। আল্লাহ যদি রহমত করেন, আমি আমার ওয়াদাগুলো অবশ্যই রক্ষা করব, ইনশাআল্লাহ। আমি জমিদার হতে আসিনি। জনগণের সেবক হতে এসেছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। যেন সারা জীবন আপনাদের পাশে থাকতে পারি। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি লুৎফর রহমান উজ্জল। #

















