টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ভাতকুরা হাইওয়ে মোড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সঞ্জীবন চক্রবর্তী নবু নামে (২৫) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় শুভ্র মাহমুদ নামে আরো একজন আহত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে সঞ্জীবন চক্রবর্তী নবু’র মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে এই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নবু টাঙ্গাইল সাবালিয়া (বটতলা) এলাকার বিমল চক্রবর্তীর ছেলে ।
দুর্ঘটনার সময়ে উপস্থিত নিহত সঞ্জীবন চক্রবর্তীর বন্ধু দেবরাজ দেব ও কৌশিক বসাক জানান- তারা অষ্টমীর রাতে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে ছয় বন্ধু মিলে টাঙ্গাইল থেকে করোটিয়াতে আরেক বন্ধু অমিত সাহার বাড়িতে ঘুরতে যান। রাত ১২ টার পর তুমুল বৃষ্টি শুরু হলে তারা করটিয়াতে বন্ধু অমিত সাহার বাড়িতে আটকা পড়েন।
ভোর সকালের দিকে বৃষ্টি কমে এলে নিহত নবুসহ সবাই মিলে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা দেন। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে ভাতকুরা বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে নিহত সঞ্জীবন চক্রবর্তী নবু’র মোটরসাইকেল রোড আইল্যান্ডের সাথে ধাক্কা লাগে। এ সময় সঞ্জীবন চক্রবর্তী নবুর  বন্ধু শুভ্র মাহমুদ তার পেছনে বসা ছিলো। সজোরে ধাক্কা লাগায় শুভ্র মাহমুদ রোড আইল্যান্ডের উপরে ছিটকে পড়ে এবং সঞ্জীবন চক্রবর্তী নবু মোটরসাইকেলের নিচে চাপা পড়ে বুকে আঘাত পায়।
এ সময় আহতবস্থায়  তাদেরকে অন্যান্য বন্ধুরা মিলে উদ্ধার করে সিএনজিযোগে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে ভর্তি করালে সঞ্জীবন চক্রবর্তী নবু সকাল ছয়টার দিকে মারা যান।
নিহত সঞ্জীবন চক্রবর্তী নবুর বাবা বিমল চক্রবর্তী কাঁদতে কাঁদতে বলেন- আমার ছোট ছেলেটা মরে গেল।
টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান প্রিন্স বলেন- নিহত সঞ্জীবন চক্রবর্তী নবু খুব ভদ্র,শিক্ষিত একটা ছেলে ছিলো। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি লুৎফর রহমান উজ্জল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.