টাঙ্গাইলে”ধর্ষিতা ৭ মাসের অন্তঃসত্বা”ছাত্রীর পরিবার মামলা করে বিপাকে,,,

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করার একদিন অতিবাহিত না হতেই ধর্ষক আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন ৭ মাসের অন্তঃসত্তা ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অসহায় ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। যারা ওই মেয়ে ও তার পরিবারকে সহযোগীতা করবে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা বলে ওপেন ঘোষনা দিয়ে যাচ্ছে আনছের আলীর ছেলে সুমন। আনছের আলী প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার লোকজনও কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
৭ মাসের অন্তঃসত্তা ওই ছাত্রীর বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমি গরীব মানুষ। ইটভাটায় কাজ করে খাই। আমার মেয়ের এ ঘটনায় কোন উপায় না দেখে বিচারের জন্য থানায় মামলা করি। মামলা করে দেহি আরো সমস্যা। থানা থেকে আসার পর থেকেই বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা কোথায় কার কাছে বিচার পাব। গরীব বলে আমাদের থানায়ও যাওয়া যাবোনা! এই বলে কাঁদতে থাকেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও বিকালে টাঙ্গাইলের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য কালিহতী উপজেলার গিলাবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আনছের আলীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ওই ছাত্রী পড়াশোনার ফাঁকে আনছের আলীর বাড়িতে কাজ করে দিতো। বিনিময়ে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার খেতো। আনছের আলীর স্ত্রী বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় বাড়িতে একাই থাকতো সে।একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর উপর কুনজর পরে ৬০ বছরের আনছের আলীর। টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
নিজের অজান্তেই কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। তারপরও ভয় দেখিয়ে নিয়মিত চালিয়ে যেতে থাকে শারীরিক সম্পর্ক। কিছুদিন আগে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। জিজ্ঞসাবাদে সে সব কিছু খুলে বলে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ৭ মাসের অন্তঃসত্তা বিষয়টি ধরা পড়ে।
বিষয়টি আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন জানার পর মেয়ের পরিবারকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে মেয়ের পিতা মেয়েকে নিয়ে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে সে কয়েক দফা তাদের মারধর করে। আনছের আলী প্রভাবশালী হওয়ায় নীরবে সহ্য করে চলে আসে মেয়ে ও তার বাবা।
এরই মধ্যে গর্ভপাত করানোর জন্য মেয়ের পরিবারকে চাপ দেয় আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে মেয়েকে টাঙ্গাইল মুন নার্সিং হোমে গর্ভপাত করানোর জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু ৭ মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ায় গাইনী ডাক্তার মালেকা শফি মঞ্জু তা করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে আনছের আলীর বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এ ব্যাপারে কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ মীর মোসারফ হোসেন এই প্রতিবেদক কে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে । আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.