টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ছোট পুঁজি অজিদের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগেছে অস্ট্রেলিয়া। যাদের নিয়ে দলটির ভরসা বেশি তারা কিছু করতে না পারলেও মিচেল মার্শ ভালোই অবদান রাখেন। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশকে ১২২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে অজিরা। বল হাতে ভিত নাড়িয়েছেন মুস্তাফিজ-শরিফুলরা।
আজ বুধবার (০৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ তোলে অজিরা।
প্রথম ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থ হয়েছেন দুই অজি ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারি ও জশ ফিলিপে। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ১১ রান করেই শেখ মেহেদীর শিকার হন ক্যারি। খানিক পরেই আরেক ওপেনার ফিলিপেকে (১০) ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। ফিজের বলটি বুঝে উঠার আগেই স্ট্যাম্পে আঘাত হানলে ফেরেন ফিলিপে।
৩১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া দলকে টেনে তোলেন মিচেল মার্শ ও মোয়াসেস হেনরিকস। এই যুগলের গড়া ৫৭ রানের প্রতিরোধী জুটিতে ভেঙে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দেন সাকিব আল হাসান। ২৫ বলে ৩০ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন হেনরিকস। গত ম্যাচে ৪৫ করা মার্শ আজও একই সংখ্যক রান করে ফেরেন। থিতু হওয়া এই ব্যাটসম্যানকে দাঁড়াতে দেননি শরিফুল ইসলাম। মিডউইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন মার্শ। কিন্তু ব্যাটে বলে হয়নি, বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হলে প্যাভিলিয়নের দিকে পা বাড়ান মার্শ।
দলের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হন ম্যাথু ওয়েড। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে তাকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। পরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান অ্যাস্টন অ্যাগারকেও ফেরান এই পেসার। ফিজের স্লোয়ার বলে কিছুটা বাউন্স ছিল। খেলতে গিয়েও ভুল করে বসেন অ্যাগার। তাতেই বল ব্যাটে লেগে উইকেটের পেছনে থাকা সোহানের গ্লাভসে জমা হয়।
পরের ওভারে দ্বিতীয় বলেই অ্যাস্টন টার্নারকে ফেরান শরিফুল। এই পেসারের করা স্লোয়ার ব্যাটে বলে হয়নি টার্নারের। কাভার অঞ্চলে থাকা মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হন তিনি। শেষের দিকে মিচেল স্টার্কের অপরাজিত ১৩ রানের ভর করে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১২১ রানের পুঁজি গড়ে অস্ট্রেলিয়া। বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.