টস হেরে হতাশ ছিলেন, ম্যাচ জিতে ‘খুব খুশি’ আফগান অধিনায়ক

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: টস হারার পর হাশমাতউল্লাহ শাহিদির চোখেমুখে হতাশার ছায়াটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল। ম্যাচ শেষে তার মুখে দেখা গেল ফ্লাড লাইটকে ম্লান করে দেওয়া হাসির ঝিলিক! আফগান অধিনায়ক স্বীকার করলেন, টস ভাগ্যকে পাশে না পেয়ে মনটা একটু খারাপ হয়েছিল তার। তবে ম্যাচের ভাগ্য যেভাবে নিজেদের করে নিয়েছে তার দল, তাতে তিনি দারুণ গর্বিত।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে টসে জেতা দল আগে ব্যাট করে ম্যাচ জিতে নেয় বড় ব্যবধানে। দুই ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে কৃত্রিম আলোয় সুইং মিলেছে পেসারদের। ১৮-২০ ওভারের পর থেকে উইকেট দারুণ স্পিন সহায়ক হয়ে উঠেছে।
প্রথম দুই ম্যাচ হয়েছে একই উইকেটে। সোমবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি হয়েছে ভিন্ন উইকেটে। টস হেরে শাহিদি বলেন, “এই উইকেট আরও বেশি শুষ্ক লাগছে, মনে হচ্ছে প্রথম বল থেকেই স্পিন করবে। পরে ব্যাট করা কঠিন হবে।” আশার কথাও শোনান তিনি, তবে সেই তার কণ্ঠে তখন জোর খুব বেশি ছিল না।
বাংলাদেশ যখন ২৪৪ রান তুলে ফেলল, শাহিদির শঙ্কাটা আরও বেশিই হওয়ার কথা। আগের দুই ম্যাচেই এরকম রান জয়ের জন্য যথেষ্টরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে। তবে এ দিন আফগান অধিনায়কের সব শঙ্কা দূর করে দেন রাহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিতে ৭ ছক্কায় ১০১ রান করেন গুরবাজ। ক্যারিয়ারের প্রথম চার উইকেট শিকারের পর ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৭০ রান করেন ওমারজাই। তার সঙ্গে জুটিতে শেষের পথ পাড়ি দেওয়া মোহাম্মাদ নাবি অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৪ রান করে।
ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের পর শাহিদির হাসিতেই বোঝা যাচ্ছিল তার উচ্ছ্বাসের মাত্রা। সেটি উঠে এলো আফগান অধিনায়কের কণ্ঠেও।
“সত্যি বলতে, টস হেরে কিছুটা হতাশ ছিলাম। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে বল যেভাবে সুইং ও স্পিন করে, তাতে ব্যাট করাটা কঠিন হয়ে ওঠে। তবে আমাদের ছেলেরা যেভাবে খেলেছে এবং দায়িত্ব নিয়েছে, গুরবাজ, আজমাত ও নাবি যেভাবে শেষ করেছে, এটা ছিল দারুণ। ওদেরকে নিয়ে আমি গর্বিত।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই নিয়ে টানা দুটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল আফগানরা। তাদের সাফল্য শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষেই নয়। গত মার্চে তারা হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে, সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
টানা তিন ওয়ানডে সিরিজ জিতে সামনে তারা যাব জিম্বাবুয়ে সফরে। এই পথ ধরে ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দারুণ কিছু করার লক্ষ্য তাদের।
“যেটা বললাম, ওদেরকে নিয়ে আমি গর্বিত। যেভাবে আমরা খেলছি এখন, খুবই ভালো তা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, সবাই পারফর্ম করছে। একেক ম্যাচে একেকজন পারফর্ম করছে। এটা দলের জন্য ভালো।”
“ভবিষ্যৎ ম্যাচগুলোয় দলকে আরও শক্তিশালী করার সব চেষ্টায় আমরা করব। সামনে আমাদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ। আশা করি ওই সিরিজ জিতে মোমেন্টাম নিয়ে শক্তিশালী হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাব আমরা।”
আগামী মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে তিন টি-টোয়েন্টি, তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলবে জিম্বাবুয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিত তাদের গ্রুপসঙ্গী অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.