টঙ্গীবাড়ীতে সরকারি ত্রাণ চাওয়ায় বৃদ্ধার কান ফাটালেন ইউপি সদস্য

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: সরকারি ত্রাণ চাওয়ায় এক বৃদ্ধার কানের মধ্যে থাপ্পড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছেন এক ইউপি সদস্য। এছাড়াও ওই বৃদ্ধার পিঠের মধ্যে চর থাপ্পড় মারারও অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আউটশাহী গ্রামে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের হত-দরিদ্র লোকমান সেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম গতকাল রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আউটশাহী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম মোল্লার কাছে সরকারি ত্রাণ চাইতে যান। আউটশাহী গ্রামের মেম্বারের বাড়ির সামনে ওই ইউপি সদস্যকে পেয়ে সরকারি ত্রাণ চেয়ে তাসলিমা তার ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি দিতে চাইলে ওই ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বৃদ্ধা তাসলিমা বেগমের বাম গালে থাপ্পড় মারে। এ সময় ওই বৃদ্ধা মাটিতে পরে গেলে নুরুল ইসলাম তার পিঠে একাধিক থাপ্পড় মারেন।
বৃদ্ধা তাসলিমা বেগম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমি সরকারি সাহায্য আসছে শুনে আমি নুরুল ইসলাম মেম্বারের কাছে গিয়ে তাকে আমার ছবি ও ভোটার কার্ড দিয়ে আমাকে কিছু সাহায্য দিতে বলি। এ কথা বলার সাথে সাথে মেম্বার আমার বাম গালে জোড়ে একটি থাপ্পড় মারে। এ সময় আমি মাটিতে পরে গেলে আমার পিঠেও কয়েকটি চর থাপ্পড় মারে মেম্বার। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। মেম্বারের থাপ্পড়ের পর আমার কান ও গলা দিয়ে রক্ত বের হয়। এখন আমি বাম কানে কিছু শুনতে পাইনা। কালকে রোজা রেখে আমি মেম্বারের কাছে গিয়েছিলাম আজ ব্যথায় রোজাও রাখতে পারিনি। ওই বৃদ্ধা কান্না করে জানায়, আগে অনেকদিন আমি নুরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়িতে কাজ করে দিয়েছি। সে আমাকে কাজের কোনো টাকা দেয়নি। কাজ করে দিলে সে সরকারি ত্রাণ আমায় দিতো। এখন আমার বয়স হয়েছে কাজ করতে পারিনা বলে সে আমায় ত্রাণও দেয়না। সেদিন আমি ত্রাণ চাইতে যাওয়ার সাথে সাথে আমার গালে থাপ্পড় মারে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমি বেশ কয়েকবার ওকে ত্রাণ দিয়েছি। বারবার ত্রাণ চেয়ে আমাকে বিরক্ত করে। ত্রাণ দেই আমি কিন্তু ও বলে বেরায় ওকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাইলি বেগম ত্রাণ দিয়েছে। ওইদিন ও ত্রাণ চেয়ে আমাকে বিরক্ত করছিলো। অন্য কারণে আমার মাথাটা একটু গরম ছিলো আমি আস্তে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিয়েছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মো. সোহেল চৌধুরী সোহেল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.