ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের ১০ কোটি টাকা লোপাট, তদন্তে আসার খবরে তড়িঘড়ি করে মেরামত কাজ শুরু

গণপূর্ত বিভাগের একটি সূত্র জানায় বিভিন্ন পত্রিকায় কোটি কোটি টাকা লোপাটের খবর প্রকাশিত হলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রানী সাহা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেন। তদন্ত দল আসার আগেই নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ নিজ উদ্যোগে এসব কাজ শুরু করেছেন। তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রানী সাহা গত ২ অক্টোবর ‘ভুয়া কাজ ও বিল ভউচারে লোপাট ১০ কোটি টাকার বিষয়ে তদন্ত প্রসঙ্গে’ শিরোনামে তার দপ্তরের ২৫.৩৬.০০০০.২১৩.২৭৫৫৯.১৯.১০৮৭ নং স্মারকে একটি চিঠি ইস্যু করেন।

তদন্তপূর্বক ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে তদন্ত দলকে নির্দেশ দিলে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ বিপাকে পড়েন।

নিজের সীমাহীন দুর্নীতি আড়াল করার জন্যই নিজ উদ্যোগে প্রায় ৪০টি সরকারী ভবনে মেরামত ও বৈদ্যুতিক কাজ শুরু করেন।

এদিকে ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাব স্টেশনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও স্থাপন কাজের টেন্ডার বাতিল করে সেই কাজের আবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে বলে নুতন করে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র মতে জানা য়ায় চুক্তি সম্পাদন না করায় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের ১৭২ নং স্মারকে ঢাকার মেসার্স লিজা এন্টারপ্রাইজের টেন্ডারটি বাতিল করা হয়। কিন্তু মাসিক ক্যাশ হিসাব রেজিস্টারে দেখা গেছে বাতিল হওয়া কাজের বিপরীতে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জুন গ-০১৯৬০৩ নং চেকের মাধ্যমে মেসার্স লিজা এন্টারপ্রাইজকে এই টাকা দিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ।

অধিদপ্তর থেকে তদন্ত আসার খবরে নতুন করে কাজ শুরু করা ও বাতিল টেন্ডারে বিল দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়ার তার সরকারী বাসভবনে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মো: আনোয়ার জাহিদ জামান। #