ঝিনাইগাতীতে ১টি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের নুহু মিয়ার ধান ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গারো পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্যহাতির পাল খাদ্যের সন্ধ্যানে লোকালয়ে প্রবেশ করে কৃষকের ধান, সবজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা বিনষ্ট করছে। গতকাল শুক্রবার রাতে একদল বন্যহাতি ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের কয়েক কৃষকের ধানের জমিতে নেমে এসে পাকা বোরো ধান বিনষ্ট করে। আজ সকালে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক নুহু মিয়ার ধান ক্ষেতে একটি মৃত বন্যহাতি পড়ে থাকতে দেখেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ, বন বিভাগ এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি সংরক্ষণ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।

বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘মৃত হাতিটি পুরুষ জাতের। এর বয়স সাড়ে তিন থেকে চার বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু পরিমাণ বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করা হয়েছে।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিটির দেহে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধাান গবেষণাগারে (সিডিআইএল) ল্যাবে পরীক্ষার পর হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর শেরপুর প্রতিনিধি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.