ঝলক দেখাচ্ছেন সাকিব-মুস্তাফিজ আবার মুম্বাইয়ের ১ উইকেটের হার

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক :  রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান – দুজনেরই ঝলক দেখা গেল। সাকিব এক উইকেট ছাড়াও করেছেন ১২ রান। অন্যদিকে মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন অন্যদিকে এগিয়ে। বাঁ-হাতি এই পেসার চার ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট।

অবশ্য এতেও কপাল ফিরলো না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে এক উইকেটে হারতে হলো রোহিত শর্মার দলকে। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়ে গেল সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। চার ওভার বোলিং করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট পাওয়া আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

বৃহস্পতিবার রাতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৭ রান তোলে মুম্বাই। এভিন লুইস ২৯, কাইরেন পোলার্ড ২৮ ও সূর্যকুমার যাদব ২৮ রান করেন। সন্দীপ শর্মা, বিলি স্ট্যানলেক ও সিদ্ধার্থ কউল দুটি করে উইনে নেন। রান তাড়ায় নেমে ঋদ্ধিমান সাহা (২২) ও শেখর ধাওয়ানের (২৮ বলে ৪৫) ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে স্বাগতিক সানরাইজার্স হায়দারাবাদ বড় জয়ই দেখছিল।

যদিও, এই ভাল সূচনা স্থায়ী হয়নি। বোলারদের উপর ভর করেই কক্ষপথে ফেরে মুম্বাই। মাত্র ১৬ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে তারা বিপদে পরে যায় হায়দারাবাদ। বল হাতে ম্যাজিক দেখিয়ে মুস্তাফিজ, বুমরাহ ও ২০ বছর বয়সী লেগস্পিনার মায়াঙ্ক মারকান্দে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। মারকান্দে চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। দুই উইকেট শিকার বুমরাহর।

নিজের তৃতীয় ওভারেও মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তবে, তিনি মূল চমকটা দেখেন নিজের শেষ ওভারে। ডেথ ওভারে যে তিনি ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হয়ে উঠছেন, সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল আরেকবার। ম্যাচটা জমে যায় ১৮ ও ১৯তম ওভারে। প্রথমে মাত্র তিন রান দিয়ে দুই উইকেট নেন বুমরাহ। এর পরের ওভারে, মানে ইনিংসের ১৯তম ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে দুই উইকেট পেয়ে যান কাটার মাস্টার।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য মুম্বাইয়ের দরকার ছিল এক উইকেট। আর হায়দারাবাদের ১১ রান। লড়াইয়ে তখন এগিয়ে ছিল মুম্বাইই। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ান পেসার বেন কাটিং চাপটা নিতে পারেননি। ১১তম ব্যাটসম্যান বিলি স্ট্যানলেকের শেষ বলে হাঁকানো চারে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় হায়দারাবাদের। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.