বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তীব্র ঝড়-বৃষ্টিতে গাজায় ধসে পড়ছে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ভবন। এছাড়া পানি জমে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে আশ্রয় শিবিরের অস্থায়ী তাঁবু। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে দ্রুত বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ বাড়বে উপত্যকাজুড়ে।
গাজাবাসীর মানবেতর জীবনযাত্রাকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে শীতকালীন ঝড়বৃষ্টি। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিপাতে পানি ঢুকছে অস্থায়ী তাঁবুগুলোতে। এতে অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে।
কিন্তু সেখানেও মিলছে না নিরাপত্তা। এরমধ্যেই কয়েক জায়গায় ভবন ধসের ঘটনাও ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন। অন্তত ১৩টি ধসে যাওয়া ভবনে উদ্ধারকাজ চালান নিরাপত্তা কর্মীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘বৃষ্টি হলেই ঘরের ফাঁকফোকর দিয়ে পানি আর ছোট ছোট পাথর ঢুকতে থাকে। এটা নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় এই ভবন ধসে পড়বে। কিন্তু এখানে থাকা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, প্রবল বর্ষণে প্রতিদিনই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় নিরাপদ বাসস্থানের অভাব, অপর্যাপ্ত খাবার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং অতিরিক্ত জনবহুল এলাকায় বসবাস, সব মিলে গুরুতর পরিস্থিতি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায়।
ফুসফুস জনিত রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস ও ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে গাজায়। তবে, এই রোগ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় রসদের জোগান নেই উপত্যকাটিতে।
ডব্লিউএইচও’র দাবি, এখনও ত্রাণ পৌঁছানোয় বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে গাজায় মহামারি ঠেকাতে দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ পুরোদমে শুরু করার আহ্বান সংস্থাটির। #















