ঝড়ে পড়া আমের কেজি মাত্র দুই টাকা!

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে লালপুরে দফায় দফায় কালবৈশাখী ঝড়ে বাগানের শতশত মণ আম ঝরে পড়েছে। সেই আম পাড়া-গ্রামে ও পাইকারি বাজারে মাত্র দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে চরম হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় আম চাষিরা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ১ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে এ বছর আমের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫ হেক্টর বেশি। আর উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ১৫০ মেট্রিকটন। তবে ঝড়ে পড়া আমের পরিমাণ পাওয়া যায় নি।
উপজেলার দুড়দুড়ীয়া, মনিহারপুর, গন্ডবিল, বেরিলাবাড়িসহ তার আশে পাশের এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা আম বাগান, গ্রাম ও বাজার থেকে প্রতি কেজি ঝড়ে পড়া আম কিনছেন মাত্র ২ টাকা কেজি দরে। এসব আম কিনে শত শত মণ আম বস্তাভর্তি করে জড়ো করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আর এসব আম দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার আমচাষি রেজাউল করিম বিটিসি নিউজকে বলেন, মৌসুমের শুরুতেই তীব্র খরায় আম নিয়ে বিপাকে পড়ি। গাছের গোঁড়ায় রস না থাকায় বোঁটা শুকিয়ে গুটি ঝরে পড়া শুরু হয়। এর মাঝে আবার আঘাত হানে কালবৈশাখী। সব মিলিয়ে অন্তত ৪০ মেট্রিক টন আম ঝরেগেছে। এসব আম মাত্র দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
আম ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার প্রায় ৫শ’ বস্তা আম কিনেছেন। খরচসহ এসব আমের দাম পড়েছে প্রায় ১০০ টাকা মণ। তার কেনা আম ঢাকা,সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন। তার মতো অনেকেই আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন বলে জানান।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, চলিত মৌসুমে বাগান গুলোতে ব্যাপক মুকুল এসেছিল। ঝড়ে পড়ে যাওয়ার পর এখনো গাছে যেআম আছে, চাষিরা সঠিকভাবে সে গুলোর যত্ন নিলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। এবং তাতেই আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.