জ্বালানী তেল-সারসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষকদলের বিক্ষোভ-সমাবেশ

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: জ্বালানী তেল, সারসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও ভোলায় দু’ নেতার নিহতের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কৃষকদল, বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের পাঠানপাড়াস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়। সেখানে সমাবেশ হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাতীয়বাদী কৃষকদল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোঃ হারুনুর রশীদ। জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম তসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে হারুনুর রশিদ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জীবন যদি দিতে হয়, রক্ত যদি দিতে হয়, আমরা প্রস্তুত আছি। জীবন আর রক্ত ছাড়া এই দেশের স্বাধীনতা ফিরে আসবে না। সুতরাং আমাদেরকে এই অন্যায়, অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রক্ত দেয়ার জন্য, জীবন দেয়ার শপথ নিতে হবে। প্রতিশোধ নয়, আমরা অঙ্গিকার করছি, হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনবো, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে জেলা কৃষকদল, সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অংগ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জনগনের দুর্ভোগের বিষয় মাথায় না নিয়ে আইএফএম’র শর্ত পুরণ করতে সরকার জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করেছেন। এতে করে কৃষি উৎপাদন খরচসহ কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং জনগনের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তিনি কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সে লক্ষে কৃষকদের বিনামুল্যে সেচ সুবিধা দেয়ার দাবি জানান।
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ আরও বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। দেশে কৃষিখাতে কোন অবদান নেই এ সরকারের। বেশ কয়েক দিন আগে ৮০০ টাকার ইউরিয়া সারের বস্তার দাম বেড়ে ১১০০ টাকা হয়েছে। কিন্তু এ সার বিএনপির আমলে মাত্র ৩০০ টাকা বস্তা ছিল।
হারুনুর রশীদ বলেন, সরকার হুট করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃষকের মাথায় হাত। ঘনঘন লোড শেডিংয়ের কারণে কৃষক তার আবাদি জমিতে সেচ দিতে পারছেনা। বিদ্যুতের বিপরীতে জ্বালানি তেল দিয়ে জমিতে পানি দিতো কৃষকরা। কিন্তু এখন আর এ সুযোগ নেই। একজন শ্রমিক, একজন গার্মেন্টস কর্মী বেতন পায় কত? এমন এক সময় আসবে তারা না খেয়ে থাকবে।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে হারুন বলেন, আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিদায়ী বছর, ইনশাআল্লাহ। তেলের দাম, সারের দাম, গ্যাসের দাম বাড়ায় মানুষের জীবন দূর্বিষহ হয়ে গেছে। সরকারের অশনী সংকেত বেজে গেছে। বিনা ভোটে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়। পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, আপনাদের রাষ্ট্র দায়িত্ব দিয়েছে, যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা পালন করুন। অযথা রাজনীতির প্রোগামের বিষয়ে মাথা গলাবেন না। এটা আপনাদের দেখার দায়িত্ব নয়। নিরিহ মানুষের উপর গুলি চালাবেন না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.