জোড়া খুনের ঘটনায় ফরিদপুরে ৮১ জনের নামে মামলা, গ্রেফতার-৪

বিশেষ প্রতিনিধি: দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল’সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায়  ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জোড়া খুনের মামলায় স্থানীয় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৮১ জনের নামে বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চর দৈত্তরকাঠি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী বাদী হয়ে শনিবার (৭ মে) রাত সাড়ে ৮ টায় এই মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ, গুরুতর জখম, খুনসহ চুরি, ক্ষতিসাধন ও হুকুমদানের অপরাধে ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৮০/৪২৭/১১৪/৩৪ ধারায় এই মামলা করা হয়। মামলায় ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুক হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে রয়েছে: গোহাইলবাড়ি গ্রামের ছমদু শেখের ছেলে নওশের শেখ (৪৫), একই গ্রামের দেলোয়ার মোল্যা (৩৪), চণ্ডিবিলা গ্রামের মতিয়ার রহমান (৪২) ও দেলোয়ার (৪০)।
মামলার অপর আসামিরা হলো- গোহাইলবাড়ি গ্রামের ছমদু শেখের ছেলে মো. নওশের শেখ (৪৫), বজলুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান মুহিত (২৮) ও মো. আরিফুর রহমান (৩৮), নওশের মোল্যার ছেলে আনোয়ার মোল্যা (২৪) ও ছানোয়ার মোল্যা (২২), হাকিম ফকিরের ছেলে হারমুজ ফকির (৩৪), আকবর মোল্যার ছেলে ইকরাম মোল্যা (৩২) ও ইমাম মোল্যা (৩৪)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বাদী গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী, তার পরিবার এবং অনুসারীদের খুন-জখমের ষড়যন্ত্র করছিল। এ ধারাবাহিকতায় গত ৩ মে (ঈদের দিন) আসামিরা বাদীপক্ষের লোকেদের ঘেরাও করে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে এবং চাপাতি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। হামলায় জখমপ্রাপ্ত আকিদুল মোল্যা, খায়রুল ইসলাম, আলমগীর, মাসুদ, জিল্লুর রহমান, মাজেদ ফকির, আমজেদ শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আকিদুল মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অপর আরেকজন মারাত্মক আহত খায়রুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৮১ জনের নামে মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.