জেলেনস্কি কেন সৌদি আরবে?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানে জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আগে অঘোষিত সফরে প্রথমবার সৌদি আরব পৌঁছেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার সৌদি আরবের বন্দর নগরী জেদ্দায় আরব লিগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি এই সফর করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে আরব লিগের ২২টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এসব দেশের মধ্যে রাশিয়ার আগ্রাসনের সমর্থনে অবস্থান ব্যক্ত করেছেন শুধু সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ায় ১২ বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে আসাদ সরকারকে ক্রমাগত সমর্থন ও সহায়তা দিয়েছে রাশিয়া। প্রায় একযুগ আরব লিগের বাইরে থাকার পর এই প্রথমবার সম্মেলনে ভাষণ দেবেন আসাদ।
টেলিগ্রাম বার্তায় এই সফর নিয়ে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্রিমিয়ার সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্ত করা এবং দখলকৃত সব ভূখণ্ড ফেরত পাওয়া। অবৈধভাবে সরিয়ে নেওয়া মানুষদেরও আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। আমি আমাদের শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবো। এটি বাস্তবায়নে যত বেশি সম্ভব দেশের যুক্ত থাকা উচিত। এছাড়া আগামী শীতে জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তাকেও গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা।
সম্মেলনে জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী শক্তি সৌদি আরব। ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে বেশ কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে রাষ্ট্রটি। ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারে জাতিসংঘের বিবৃতিকে সমর্থন করে কিয়েভকে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রিয়াদ।
আবার পাশাপাশি মস্কোর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কথা বলেছে রাষ্ট্রটি। ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে নিজেদের নিরপেক্ষ বলে দাবি করে সৌদি আরব।
সৌদি আরব পৌঁছার আগে জেলেনস্কি ইউক্রেনের মুসলিমদের কথা তুলে ধরেছেন। ক্রিমিয়ার তাতার মুসলিম জনগোষ্ঠীর নেতা মুস্তাফা ডিজেমিলেভকে সঙ্গে এনেছেন তিনি। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে, রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনে মুসলিমরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কাছে তুলে ধরবেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেছিলেন, রুশ দখলের প্রথম ভুক্তভোগী ক্রিমিয়া। দখলকৃত ক্রিমিয়ায় যারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগ মুসলিম। (সূত্র: বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.