জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পাঠানো মহাকাশের ছবি

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডাব্লিউএসটি) হলো কক্ষপথে স্থাপন করা সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। তার তোলা প্রথম ছবি প্রকাশ করলো নাসা।
অসাধারণ ছবি: হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে এই ছবি তুলে দেয়া হয়। তিনিই প্রকাশ করেন জেডাব্লিউএসটি-র তোলা এই অসাধারণ ছবি, যেখানে অসংখ্য গ্যালাক্সি দৃশ্যমান। বাইডেন বলেছেন, ”আমরা ১৩ বিলিয়ান বা এক হাজার তিনশ বছর আগেকার ছবি দেখছি। কারণ, বিন্দুর মতো যে তারাগুলি রয়েছে, তার আলো আসতে এক হাজার তিনশ বছর সময় লেগেছে।” 

Teaser photo

টিজার ছবি: প্রথম ছবি প্রকাশের আগে কিছু নমুনা ছবি প্রকাশ করে নাসা। এই ছবিটি গত ৬ জুলাইয়ে প্রকাশ করা হয়। এই টেলিস্কোপ এতটাই শক্তিশালী, যে দাবি করা হচ্ছে এর ফলে মহাকাশ-রহস্যের অনেক কিছুই আমরা জানতে পারব। কোন কোন গ্রহ বাসযোগ্য তাও বলে দিতে পারবে এই টেলিস্কোপের ছবি।
বাইডেনের বক্তব্য: বাইডেন বলেছেন, ”জেডাব্লিউএসটি-র ছবিই বলে দিচ্ছে, অ্যামেরিকা বড় কাজ করতে পারে। অ্যামেরিকার মানুষ, বিশেষ করে ভাবী প্রজন্মকে এই ছবি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, আমাদের অসাধ্য বলে কিছুই নেই।” বাইডেন বলেছেন, ”আজ ঐতিহাসিক দিন। শুধু অ্যামেরিকার জন্য নয়, পুরো মানবতার জন্য।”
blackholeব্ল্যাক হোল রহস্য: মহাকাশে ব্ল্যাক হোল এমনকি আলোও গিলে ফেলে৷ এমন রহস্যময় মহাজাগতিক বস্তু সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের সীমা নেই৷ মহাকাশে ভাসমান এই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ব্ল্যাক হোলসহ ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারে৷
নাসার কৃতিত্ব: জেডাব্লিউএসটি হলো সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। জেডাব্লিউএসটি-কে মহাকাশে স্থাপন করা হয়েছে ২০২২-এর জানুয়ারিতে। উন্নত প্রযুক্তি ও সূর্যের কাছে এই টেলিস্কোপ থাকায় মহাবিশ্বের অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে নাসার তিন বিজ্ঞানীকে দেখা যাচ্ছে, যারা হোয়াইট হাউসে ছিলেন।
টেলিস্কোপ বানাবার খরচ: জেডাব্লিউএসটি বানাতে খরচ হয়েছে এক হাজার কোটি ডলার। মূলত দুইটি লক্ষ্যপূরণের জন্য এত অর্থ খরচ করা হয়েছে। প্রথমত, সাড়ে তেরো কোটি বছর আগের তারার আলোকে ধরে রাখা। দ্বিতীয়ত, বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান করা। বাইডেন যে ছবি প্রকাশ করেছেন, তা থেকে স্পষ্ট, প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। উপরের ছবিটি জেডাব্লিউএসটি-র সুপার সেনসিটিভ সোনালি আয়নার।
কক্ষপথে: ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ফরাসি গিনি থেকে পাঁচটি রকেট সম্বলিত মহাকাশযান জেডাব্লিউএসটি-কে মহাকাশে নিয়ে যায় এবং কক্ষপথে স্থাপন করে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ছবি প্রকাশ করা হলো। মহাকাশের এত ভালো, গভীর ও নিখুঁত ছবি এর আগে পাওয়া যায়নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.