জুতার ভেতর মিললো কোটি টাকার ১৮ পিস স্বর্ণের বার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া সাইন বোর্ড এলাকা থেকে এক মোটর সাইকেল আরোহীর জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোটর সাইকেল চালক দেওয়ান ইসমাইল হোসেন নামে একজন ও স্থানীয় আঞ্জু বেগম নামের এক মহিলাকেও থানায় নেওয়া গেছে পুলিশ। ইসমাইল হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার গোবিন্দল গ্রামের দেওয়ান মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্থানীয়রা স্বর্ণের বার উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

স্থানীয় আঞ্জু বেগম বিটিসি নিউজকে জানান, দৌলতদিয়ার সাইন বোর্ড এলাকায় দুইটি দ্রুতগামী পালসার মোটরসাইকেলের সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল দুটির সামনের অংশ দুমরে মুচরে যায় এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এসে চালক ও আরোহীদের উদ্ধার করে এবং রাস্তার উপর পড়ে থাকা চামড়ার জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার পান। পড়ে পুলিশকে খবর দেন, পুলিশ এলে তাদের হাতে স্বর্ণের বার গুলো দেওয়া হয়।

আটককৃত ইসমাইল বিটিসি নিউজকে জানান, তিনি কুষ্টিয়াতে বিএডিসির চাকরিতে যোগদানের জন্য যাচ্ছিলেন। তার সাথে ছিল এলাকার ফরহাদের ছেলে বিল্পব নামের এক যুবক। মোটরসাইকেল সংঘর্ষের পর বিল্পব কোথায় গেছে তা জানেন না। তবে যে স্বর্ণের বার পাওয়া গেছে এগুলো তার না এবং তিনি জানেনও না এ স্বর্ণের বারগুলো কার।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড এলাকার সড়কে দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা রাস্তার উপর পড়ে থাকা জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার পেয়ে তাদের জানান। পড়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোটরসাইকেল চালক ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি ও স্থানীয় একজন মহিলাকে থানায় নিয়ে আসেন।

তবে আটককৃত ব্যক্তির দাবি সে এ স্বর্ণের বারের সাথে সম্পৃক্ত না। তিনি কুষ্টিয়া বিএডিসিতে চাকরিতে যোগদানের জন্য যাচ্ছিলেন।

উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের বিষয় পৃথক আইনগত ব্যবস্থা এবং এর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বারের ওজন ১০০ গ্রাম করে হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় এককোটি টাকার মত হবে বলে জানান তিনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.