বিটিসিস্পোর্টসডেস্ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তরুণদের ওপর ভরসা রেখেছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু নির্বাচকদের মান রাখতে পারলো না বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় তারুণ্য নির্ভর দলটি। শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখতে পারলেও সেই রান টপকাতে পারলো না মোসাদ্দেকরা। ফলে ১০ রানের পরাজয়ে সিরিজ হারলো টাইগাররা।
হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন। দুই ওপেনার ভাল ভাল সুচনা এনে দেন। দলীয় ২৯ রানে নাসুমের বলে ফিরে যান চাকাভা। নাসুম আহমেদের পর জিম্বাবুয়ের শিবিরে জোড়া আঘাত আনেন মেহেদি হাসান। ওয়েসলে মাধভেরেকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। এর রেশ না কাটতেই সিকান্দার রাজাকে মুস্তাফিজের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
পরে মোসাদ্দেকের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শন উইলিয়ামস। মোসাদ্দেকের পর বোলিংয়ে এসে উইকেটের দেখা পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে নাসুমের এক ওভারে ৩৪ রান নেন রায়ান বার্লে। এর পর ম্যাচে ঘুরে যায় জিম্বাবুয়ের দিকে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে।
সিরিজ জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান দুই ওপেনার লিটন দাস ও পারভেজ হোসাইন ইমন। ভিক্টর নিয়াউচিকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৬ বলে ১৩ রান করেন লিটন। নিয়াউচির পরের ওভারে ফিরে যান ৬ বলে ২ রান করা ইমন। দুই ওপেনারের পর বিদায় নেন এনামুল হক। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৩ বলে ১৪ রান করেন।
আর দলকে বিপদে ফেলে ফিরে যান নাজমুল হোসাইন শান্ত। শন উইলিয়ামসের বলে স্কুপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে লুক জঙ্গুয়ের হাতে ধরা পড়েন শান্ত। আবারও ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৭ বলে ২৭ রান করে দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটার বিদায় নেন। আর মাঠে নেমেই শূন্য রানে ফিরে যান নুরুল হাসান হোসানের ইনজুরিতে অধিনায়কত্ব পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.