জিডির অভিযোগ ‘বানোয়াট’ দাবি ওই রাবি শিক্ষকের

রাবি প্রতিনিধি:  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগের দুই শিক্ষকের একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি জিডির ঘটনায় একজনের উল্লেখিত অভিযোগকে ‘বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন আরেক শিক্ষক।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরিত এক লিখিত বক্তব্যে ওই শিক্ষক অধ্যাপক মু. আলী আসগর এ দাবি করেন।

এর আগে, হুমকির অভিযোগ এনে গত ১২ই নভেম্বর তার বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন একই বিভাগের অধ্যাপক মো. খাইরুল ইসলাম।

অধ্যাপক আলী আসগর দাবি করেন, ১ নভেম্বর ২০১৮ ও ৬ নভেম্বর ২০১৯ সালে দুইটি পৃথক ঘটনায় অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম তাকে হুমকি দেন ও অসদাচরণ করেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি গত ৯ই নভেম্বর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই অভিযোগ আড়াল করতে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগে ২০১৮ সালের পহেলা নভেম্বরে পরীক্ষা কক্ষে দ্বায়িত্ব পালনকালে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম কর্তৃক আমার প্রতি অসাদাচরণ ও হুমকি এবং পরবর্তীতে চলতি বছরের গত ৬ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের নিকট পুনরায় অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম কর্তৃক আমি হুমকি পাওয়ায় আমার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে গত ৯ নভেম্বর রাজশাহী মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছি।

আমার উক্ত জিডির প্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বরে ‘Jagonews24.com’ এ অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের বক্তব্য, ‘তার (আলী আসগর) সঙ্গে আমার ৬ মাসের অধিক সময় ধরে কথা হয়নি। যে তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেদিন আমি ও পরিবহন প্রশাসক একই সঙ্গে ছিলাম। অগ্রণী ব্যাংকের সামনে দেখেছি তাকে তবে তার সাথে একটা অক্ষরও কথা হয়নি আমার’ প্রকাশিত হয়েছে। পরের দিন দশ নভেম্বরে অনলাইন ‘Campuslive24.com’ এ অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের Jagonews24.com এ প্রকাশিত বক্তব্যের একই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। আমি জেনেছি, অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম ৬ নভেম্বর দুপুরে হুমকি পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগে ১২ নভেম্বরে আমার বিরুদ্ধে মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন (জিডি নং ৫৩৪)। অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের বিপরীতধর্মী দুটি বক্তব্য প্রকৃত সত্য অর্থাৎ ৬ নভেম্বর আমাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি আড়াল করার অপচেষ্টা এবং তাঁর অভিযোগের অসত্যতা প্রমাণ করে। আমার বিরুদ্ধে অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের সকল অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হীন উদ্দেশ্যমূলক।’

এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর এ বক্তব্যের অনুলিপি প্রেরণ করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.