জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে এখন সমীহ করার নাম বাংলাদেশ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। এ ঐতিহ্যকে আমরা ধরে রাখতে পারিনি। যদি ধরে রাখতে পারতাম তাহলে বিশ্বে জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা এক অথবা দুই নম্বরে থাকতাম। জাহাজ নির্মাণ খাতটি অর্থনীতিতে শক্তি জোগায়। বাংলাদেশ থেকে আমরা জাহাজ রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছি। জাহাজ নির্মাণের সূতিকাগার ইংল্যান্ডে জাহাজ রপ্তানি করছি, এটি একটি বড় অর্জন। দেশের প্রধান রপ্তানিকারী সেক্টর গার্মেন্টস সেক্টরকে আমরা প্যাট্রোনাইজ করছি। জাহাজ নির্মাণ সেক্টরও দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম সেক্টর হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস কন্টেইনার জাহাজ যুক্তরাজ্যের কোম্পানির নিকট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস, এক্সপোর্ট, বন্ড ও আইটি) হোসেইন আহমদ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা এবং আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহেল বারী।
জাহাজটির ধারণক্ষমতা ৬ হাজা ১০০ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। জাহাজটি মাল্টিপারপাস হওয়ার কারণে ভারী স্টিলের কয়েল, খাদ্যশস্য, কাঠ এবং কন্টেইনারের পাশাপাশি বিপজ্জনক দ্রব্যাদিও বহন করতে পারবে। বাল্টিক সমুদ্রে চার ফুট বরফ আচ্ছাদিত অবস্থায় চলতে পারবে। এটি যুক্তরাজ্যের এনজিয়ান শিপিং কোম্পানির নিকট হস্তান্তর করা হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিপইয়ার্ডগুলো জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান, শিপইয়ার্ডগুলো উঠে আসুক। আরও কার্যকর ভূমিকা রাখুক। আর এটা এখনই সময়। সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। কোভিডকালীন ধাক্কা আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামলে উঠে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে মৃতপ্রায় সরকারি ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ডগুলো নৌবাহিনীর হাতে দেওয়ায় সেগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে এখন সমীহ করার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ফ্রিগেট থেকে শুরু করে সব ধরনের জাহাজ নির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করেছে। জাহাজ নির্মাণ সেক্টরের বিরাট সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, মোংলা বন্দরের মেইন জেটিতে আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডশন, বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চলমান। প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে উদ্বোধন করবেন
উল্লেখ্য, আনন্দ শিপইয়ার্ড ২০০৮ সালে প্রথম ডেনমার্কে জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য জাহাজ রপ্তানির স্বর্ণদ্বার উন্মোচন করে। আনন্দ শিপইয়ার্ড এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ক্রেতার নিকট ৩৫৬টি জাহাজ নির্মাণ করে সরবরাহ করেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.