জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ : রাজউকে দুদকের অভিযান

 

ঢাকা প্রতিনিধিআজ রোববার হটলাইনে (১০৬) পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ পেয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির প্রমাণও পেয়েছে দুদক টিম।

কমিশনের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান চালায়।

কমিশনের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিটিসি নিউজ ঢাকা প্রতিনিধিকে বলেন, একটি প্লট একজন ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দিয়ে বিশেষ কায়দায় সে বরাদ্দ আবার বাতিল করতেন রাজউকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। এরপর পুনরায় বিপুল অংকের অর্থের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ভিন্ন একজনকে ওই প্লট বরাদ্দ দেওয়া হতো। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ৫ কাঠা আয়তনের আইডি নং ০৭-৪০১-০০১ প্লটটির বরাদ্দ নিয়ে এমন অনিয়মের অভিযোগটি পেয়েই অভিযান চালিয়েছে দুদক।

দুদক টিম সংশ্লিষ্ট নথিসমূহ যাচাই করে দেখে, ২৮ অক্টোবর ২০০৩ তারিখে জুবিলী হক নামে একজন বরাবর প্লটটির সাময়িক বরাদ্দপত্র জারি করা হয়। পরবর্তীতে একই প্লট ৫ আগস্ট ২০১০ তারিখে এফএম সাইফুল ইসলামের নামেও বরাদ্দ করা হয়।

এ অনিয়মের কারণ জানতে চাইলে রাজউক কর্তৃপক্ষ দাবি করে, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) তথ্যাবলি না থাকায় ভুলবশত এ অনিয়ম হয়েছে। তখন ওই প্লটটি প্রথমে বরাদ্দপ্রাপ্ত জুবিলী হক বরাবর বহাল রেখে এএফএম সাইফুল ইসলামের অনুকূলে একটি বিকল্প প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজউকের মেম্বার (এস্টেট এবং ল্যান্ড) দুদক টিমকে আশ্বস্ত করেন যে, এ প্লট বরাদ্দের বিষয়টি অতিসত্বর শেষ হবে।

এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বিটিসি নিউজ ঢাকা প্রতিনিধিকে বলেন, এটি রাজউকের গভর্ন্যান্স ফেইলিওর, বড় ধরনের অনিয়ম। একই প্লট দুই ব্যক্তির নামে বরাদ্দের কারণে বড় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই প্লটে বরাদ্দপ্রাপ্ত উভয় ব্যক্তিই যেন কোনো রকম হয়রানির শিকার না হন, দুদক বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে, এর ব্যত্যয় হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.