জার্মান বধের নেশায় ইংল্যান্ড

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: জার্মানরা ২৫ বছরের শিরোপা খরা মেটাতে চায়। প্রথম ইউরো জয়ের মিশনে জার্মান বধে আপসহীন ইংলিশরাও। নকআউট পর্বের অন্যতম আকর্ষণীয় ম্যাচ উপভোগের প্রতীক্ষায় বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও ইংল্যান্ড।
এখন পর্যন্ত তিনবার চ্যাম্পিয়ন জার্মানরা ২৫ বছরের শিরোপা খরা মেটাতে চায়। অন্যদিকে প্রথম ইউরো জয়ের মিশনে জার্মান বধে আপসহীন ইংলিশরা। ওয়েম্বলিতে দুই দলের এই মহারণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।
একটা ফুটবল ম্যাচ হতে। যে ম্যাচের জন্য সারা বিশ্বের ফুটবল পিয়াসিরা চাতক পাখির মতোই আছে প্রতীক্ষায়। এবারের ইউরো জয়ে দুই দাবিদার জার্মানি ও ইংল্যান্ড। কিন্তু, দুই দলের যে কারও স্বপ্ন হবে চূর্ণ। তাই প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে স্বপ্ন জিয়ে রাখতে হবে। মরো নয়তো মারো।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৯৬ সালে সেমিফাইনাল। ইউরোর প্রথম শিরোপা জয়ের খুব কাছে গিয়েও সেবার থ্রি-লায়নদের স্বপ্নের সমাধি রচনা করেছিল জার্মানরা।
৯৬ সালে ইংল্যান্ডের ওই দলে ছিলেন বর্তমানে কোচের ভূমিকায় থাকা সাউথগেট। প্রতিশোধের নেশা তেতে আছে ইংলিশরা। তার ওপর ঘরের মাঠ বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। তাই হ্যারি কেইন রাহিম স্টারলিংরা বার্লিনের দেয়াল এবার গুঁড়িয়ে দিতে চায়।
এই ইংল্যান্ডকে ২৫ বছর আগে হারিয়ে ফাইনাল উঠেছিল জার্মানরা। ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ ইউরো ট্রফি জেতার পর আরও দুইবার ফাইনালে উঠলেও, প্রত্যাশার প্রাপ্তি মেলেনি। লংপাস আর পাওয়ার ফুটবলের দর্শন পর্তুগালের বিপক্ষে দেখিয়েছে ডায়ম্যানশাটরা। কোচ জোয়াকিম লোর স্বস্তির খবর। সম্পূর্ণ ফিট হয়ে মাঠে ফিরছেন গোল মেশিন থমাস মুলার। তাই ৩-৪-৩ ফরমেশনে আক্রমণ সাজিয়ে ইংলিশ দুর্গ চূর্ণ করার পরিকল্পনা জার্মানদের।
দলের পক্ষ থেকে কাই হাভার্ট বলেন, ‘ইংল্যান্ড কখনো ইউরো জিততে পারেনি। তার ওপর ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠ, সমর্থক কিংবা সংবাদমাধ্যম। সব মিলিয়ে চাপ থাকবে স্বাগতিকদের ওপর। সেক্ষেত্রে আমাদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে হবে।’
মেজর ট্রফিতে দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাৎ ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ। সেবার ইংলিশদের ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল জার্মানরা। এবার প্রতিশোধ নাকি দীর্ঘশ্বাস আরও লম্বা করবে থ্রি লায়নরা? #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.