জার্মানির এক ঘোষণায় কপাল ঘামছে নেতানিয়াহুর

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বরাবরই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তেলআবিবের পান থেকে চুন খসলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে ওয়াশিংটন। তবে গাজা যুদ্ধকে ঘিরে কিছুটা ভাটা পড়েছে সে সম্পর্কে। যার প্রভাব পড়েছে ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ জার্মানির সঙ্গে সম্পর্কে। ইসরায়েলকে আর নতুন করে কোনো অস্ত্র দিচ্ছে না জার্মানি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জার্মান কর্মকর্তা বলেছেন, তারা ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির লাইসেন্স অনুমোদন করা বন্ধ করেছে, কারণ, এক্ষেত্রে আইনি ও রাজনৈতিক চাপ রয়েছে৷ এমন রপ্তানির মাধ্যমে জার্মানি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ ফলে ধারণা করা হচ্ছে জার্মানিকে এই চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের পর তারা জানায়, ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে লাইসেন্স দেওয়া। চলতি মাসে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত ৩৫০টি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করেছে৷ কারণ ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে৷
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ। এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে গাজার ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানকার কয়েক লাখ মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন। এমনকি উপত্যকাটির বেশির ভাগ হাসপাতালও বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.