জাবির আরেক শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির এক শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ঢাকার সাভারে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন তিনি। তার শরীরে করোনার ‘জটিল’ কোন উপসর্গ নেই।

গতকাল সোমবার (২৫ মে) তার করোনা পজিটিভের বিষয়টি জানানো হয়।

সাভারে নিজেদের বাসায় থাকাবস্থায় ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত মামার সংস্পর্শে ওই শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আক্রান্তের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর মামা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত। গত ১২ মে তিনি সাভারে ওই শিক্ষার্থীদের বাসায় যান। এরপর গত ১৯ মে ওই শিক্ষার্থীর মামার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত শনিবার (২৩ মে) তিনি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজের নমুনা দিয়ে আসেন।

ওই শিক্ষার্থী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কয়েকদিন ধরেই আমি করোনার নানা উপসর্গে ভুগছিলাম। এর মাঝে মামার করোনা আক্রান্তের খবর জানতে পারি। এরপর নিজে থেকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে আসি। গতকাল সোমবার আমার করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়েছে। এখন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছি।

তবে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার পরিবারের আরও তিন সদস্য রয়েছেন। তাদের করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন হলেও সে বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন আক্রান্ত শিক্ষার্থী। এছাড়া নিজের নমুনা পরীক্ষা করাতেও যথেষ্ট ‘বেগ’ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক এম. মেসবাহউদ্দিন সরকার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভের খবর জানার পরেই ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের কোনো শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে আমরা তার পাশে থাকবো সবসময়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর পুলিশ কর্মকর্তা বাবা গত ২২ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। পরে পরিবারের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থী ও তার মায়ের করোনা পজিটিভ আসে।

গত ১৭ মে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষার পর ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যরা করোনামুক্ত বলে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে। আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ২০ দিনের মাথায় সুস্থ হন তারা। শিক্ষার্থীর বাবা হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও, বাকিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর জাবি প্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.