জাপানে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিস আঘাত হেনেছে

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার কিছুক্ষণ আগে জাপানে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিস আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আরও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিস, জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম টোকিওর ইজু উপদ্বীপে আঘাত হানে। শক্তিশালী এই ঝড়ের প্রভাবে জাপানের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়োদো নিউজ।

খবরে বলা হয়েছে, জাপানের কেন্দ্রীয় অঞ্চল, পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধস আঘাত হেনেছে। সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। দেশজুড়ে ২৭ হাজার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

জাপানের সংবাদসংস্থা এনএইচকে’র খবর অনুযায়ী, কানাগাওয়া, তোচিগি, গুনমা, ইওয়াতে, মিয়াগি, ফুকুশিমা, চিবা এবং সায়তমা অঞ্চলে টাইফুন হাগিবিস আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১২৮ জন। নিখোঁজ রয়েছেন ৬০ জন।

কর্মকর্তারা এখন মোট হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। তবে টাইফুনে ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশী বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির, খবরে বলা হয়েছে, টাইফুন ‌‘হাগিবিস’ এখন জাপানের মূল দ্বীপের পূর্ব উপকূল ধরে এগিয়ে যাচ্ছে এটি। এই ঝড়ে বাতাসের গতি প্ঘরতি ণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৫ কিলোমিটার।

কিয়োদো নিউজ এজেন্সি বলছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ শনাক্ত করা গেছে। তীব্র বন্যা এবং ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় ৭০ লাখের বেশী মানুষকে তাদের বাড়ি ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাপানের আবহাওয়া কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন শহর এবং গ্রামে অতিরিক্ত মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ায় জরুরি সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়েছে।’ এদিকে আবহাওয়া কেন্দ্রের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, টোকিও এলাকায় গতকাল শনিবার এবং আজ রবিবারের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রায় আধা মিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

খবরে বলা হয়েছে, শনিবার টোকিওর অনেক এলাকায় বুলেট ট্রেন এবং মেট্রোর অনেক ট্রেন সেবা বন্ধ ছিল। টোকিওর হানেদা এবং চিবা’র নারিতা বিমানবন্দর মোট এক হাজারের বেশী ফ্লাইট বাতিল করেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.