বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:জাপানের ওপর আঘাত হেনেছে টাইফুন ‘শানশান’। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাপানের দ্বীপপুঞ্জে এটি আঘাত হানে। এর আগে থেকেই মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে দেশটির বিভিন্ন স্থানে। এতে সবশেষ ৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন।
কয়েক দশকের মধ্যে জাপানে আঘাত হানা অন্যতম শক্তিশালী টাইফুনটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও শুক্রবার সকালে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, টাইফুন কিউশু দ্বীপে আঘাত হানার আগেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যায়। এর ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে গভীর রাতে আইচি প্রদেশে একই পরিবারের তিন সদস্য মারা যান। কিউশুতে একটি ছোট নৌকা ডুবে একজন এবং অপরজন দোতলা বাড়ি ধসে মারা গেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার বেগে টাইফুনের আঘাত হানার সময় কিছু স্থানে জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং ছাদ থেকে টাইলস ছিঁড়ে যায়। কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। ৫০ লাখেরও বেশি লোককে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যদিও কতজন সরে গেছে তা স্পষ্ট নয়।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, কিউশুর কিছু অংশে আগস্টে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। মিসাতো শহরে ৪৮ ঘণ্টায় ৭৯১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, ভয়াবহ এমন দুর্যোগে আড়াই লাখেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও দেশটির ইউটিলিটি অপারেটর জানিয়েছে, প্রকৌশলীরা ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করায় এখন সাড়ে ছয় হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। কিউশুতে বুলেট ট্রেন বন্ধ রয়েছে এবং টোকিও ও ওসাকার মধ্যবর্তী প্রধান রুটেও চলছে থেমে থেমে।
টাইফুনের প্রভাবে জাপান এয়ারলাইন্স এবং অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ ইতিমধ্যে শুক্রবারের জন্য তাদের ৬০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। আগের দিন একই সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল হয়। যার ফলে প্রায় ৫০,০০০ যাত্রী প্রভাবিত হন।
অটো জায়ান্ট টয়োটা জাপানে তাদের ১৪টি কারখানার সবকটিতে উৎপাদন স্থগিত করেছে। নিসান এবং হোন্ডাও তাদের কিউশু অঞ্চলের প্ল্যান্টে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। টোকিও ইলেক্ট্রনসহ চিপ নির্মাতারাও কিছু কার্যক্রম স্থগিত করেছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.