জানেন কি আপনি ডায়েট পানী খাচ্ছেন না বিষ খাচ্ছেন?

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি নিউজ ডেস্ক:  আমরা আজকাল ডায়েটের নাম করে ডায়েট পানী খাওয়াটা ফ্যাশনে পরিণত করেছি। ওজন বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে অনেকে কোক জাতীয় কোমল পানীয় খাওয়া কমিয়েছেন বটে, তবে প্রাণে ধরে ছেড়ে দিতে পারেন নি। বরং বেশিরভাগ মানুষ কোমল পানীয়র জায়গায় বেছে নিচ্ছেন ডায়েট পানীয়। 

তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান বা গবেষণা কী বলছে তা জানলে কিন্তু আর এতো নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন না। নিউইয়র্কের আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অব মেডিসিনের একদল গবেষকের মতে, প্রতি দিনের ডায়েট পানীয় খাওয়ার অভ্যাস হৃদরোগের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে ৩৩ শতাংশ। স্ট্রোকের সমস্যা বাড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ।

এই ধরনের কোকে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে বলে অনেকেই ওজন কমানোর হাতিয়ার করে একে। কিন্তু এর অ্যাডেড সুগার শরীরের অত্যন্ত ক্ষতি করে।

এছাড়া এতে থাকা অ্যাসপার্টেম কৃত্রিম চিনির থেকেও ক্ষতিকর। অ্যাসপার্টেম থেকে তৈরি হওয়া শর্করা তাড়াতাড়ি গলে যায় ঠিকই, কিন্তু কৃত্রিম চিনিতে এর পরিমাণ এতই বেশি করে দেওয়া থাকে যে ক্ষতি আটকানো যায় না। তা থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে কিডনির অসুখ। বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের সমস্যা। এমনকি ক্যানসারও।

গবেষকরা বলেন:  প্রায় ৮২ হাজার মানুষের উপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে ওজন বৃদ্ধি ঠেকাতে সাধারণ ঠাণ্ডা পানীয় ছেড়ে ডায়েট পানীয়ে খেতে শুরু করলে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। দিনে দুই বা তার বেশি ডায়েট কোক খেলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়।’

সংরক্ষণের উদ্দেশে ডায়েট পানীয়তে প্রিজারভেটিভ যোগ করা হয়। এই সব  কর উপাদান থেকে অ্যালঝাইমার্সের মতো অসুখও হানা দিতে পারে, বলছেন গবেষকরা।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-ও এই গবেষণার সঙ্গে একমত। তাদের মতেও ডায়েট কোক বা অন্যান্য কোমল পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বরং তার বদলে লেবু-পানি খাওয়া অনেক ভালো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.