বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
সুপরিশে বলা হয়েছে, গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, এই সুপারিশগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে, জুলাই সনদ যাতে একটি আইনি ভিত্তি পায়। যে সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত এং ঐকমত্য হয়েছে ভবিষ্যতের রূপরেখা হিসেবে যে সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং ঐকমত্য হয়েছে সেসব বিষয় যেন বাস্তবায়ন হয়।
১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক দল গুলো এগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হযেছে।
তিনি জানান, জুলাই সনদ বাস্তবয়নের সুপারিশে প্রধানত তিনটি ভাগ আছে।
প্রথমত, যে সকল বিষয় সাংবিধানিক বিষয় সংশ্লিষ্ট নয়, যেগুলো সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারে, সরকারের পক্ষ থেকে সেগুলো যেন অবিলম্বে বাস্তবায়িত করা হয়।
দ্বিতীয়ত, সুপারিশের মধ্যে এমন অনেক কিছু আসছে যেগুলো সরকারের অফিস আদেশ দিয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলোও যেন সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করেন।
কোনগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে কোনগুলো অফিস আদেশের মাধ্যমে করা যাবে সেগুলো চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে সুপারিশে।
আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনেক সাংবিধানিক বিষয়ে ঐক্যমত আছে কিছু কিছু বিষয়ে ভিন্ন মত আছে। সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নের একটি আইনি ভিত্তি প্রদান এবং বাস্তবায়নের পথ নির্দেশ করার জন্য আমরা আমাদের তৃতীয় সুপারিশে কীভাবে এগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়া যায় সেগুলো উল্লেখ করেছি।
এর আগে এদিন সকালে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, আজকেই সব রাজনৈতিক দলগুলোকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা পৌঁছে দেয়া হবে। যে সব বিষয় সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, সেগুলো সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে বাস্তবায়নের জন্য ৪৮টি বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৪৮টি বিষয় বাস্তবায়নে জনগণের গণভোট হবে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আমরা সুপারিশ করেছি, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একইসঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদ এবং জাতীয় সংসদ হিসেবে কার্যকর থাকবে তবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ কার্যকর থাকবে ২৭০ দিন এই সময়ের মধ্যে সং আর পরিষদের সদস্যরা জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত এবং গণভোটে জনগণের সম্মতি পাওয়া বিষয়গুলো প্রয়োজনীয় সংশোধন পরিমার্জন পরিবর্তন করবেন। যদি সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করে, তাহলে জুলাই সনদে থাকা বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হবে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে তিনি বলেন, যারা স্বাক্ষর করেনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে, এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে, হচ্ছে। আশা করি এনসিপি স্বাক্ষর করবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

















