জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের তথ্য গায়েব করেছে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গোটা বিশ্ব যখন করোনা নামক মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন এক প্রকার প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া শুরু করলো পাকিস্তান।

সাম্প্রতিক সময়ে ৪ হাজার জনের নাম তাদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে দেশটি । এদের মধ্যে ১৩০ জন জাতিসংঘের কালো তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসী বলে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পাকিস্তান এমন কাজ করেছে। তবে পাকিস্তান বলছে , জাতিসংঘের থেকে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ায় তারা ওই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে পারেনি।

২০১৮ সালের অক্টোবরে সন্ত্রাসবিরোধী অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড তারা বাড়িয়ে দিয়েছে। তখন প্রায় ৭ হাজার ৬০০ জনের একটি সন্ত্রাসী তালিকা প্রকাশ করে পাকিস্তান।

এ বিষয়ে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে ওই নামগুলো বাদ দিয়েছে। পাকিস্তানের এই কর্মকাণ্ড প্রথমে নজরে আনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ক্যাসেলাম এআই ।

গত মাসে তাদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর থেকে কিছু নাম মুছে দিয়েছে। কিন্তু ওখানে আরও ১ হাজার ৬৯ জনের নাম ছিলো যেগুলো মার্চের ৯ তারিখ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে মুছে ফেলা হয়। পাশপাশি মার্চের ২৭ তারিখের পর আরও ৮০০ নাম ওই তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়।

এ বিষয়ে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানায়, এর মানে হচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দল পাকিস্তানে যাওয়ার পর থেকেই তারা নাম মুছতে শুরু করে।

পাকিস্তানে গত ৯ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সফর করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা দল। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছে,জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাকিস্তান সফর নিয়ে তারা বিস্তারিত কোন তথ্য পায়নি।

এদিকে গত ১৮ মার্চ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে পাকিস্তান চাইলে কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের তালিকা থেকে ভুল নাম মুছে দেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।

পাকিস্তান চীনের সহায়তাই এমন কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে দাবি করছে বিশ্লেষকরা। উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে মাসুদ আজহার জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসী বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও ঘোষণা করলেও তা মানে না চীন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.