জাকসু নিয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময়

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন প্রসঙ্গে ছাত্র সংগঠনসমূহের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ, প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি সোহেল আহমেদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে নীতিমালা সংস্কারসহ যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন।
দ্রুত জাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে কোন বাঁধা আসবেনা উল্লেখ করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন আছে। এই অধিবেশনে যাতে কোন ঝামেলা না হয়, সেই জন্যই আগেরদিন কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে ডেকে চা খাইয়ে ঠান্ডা করার জন্য এই মতবিনিময় সভা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে ’৭৩-এর অধ্যাদেশ যথাযথভাবে পালন করা হয়। কিন্তু ছাত্রদের বিষয় আসলেই যত অনিয়ম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম করাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
সভায় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘আগামীকালের সিনেট অধিবেশনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংগঠনগুলো আন্দোলনে যেতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে আজ তড়িঘড়ি করে মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসলেই জাকসু চায় তবে আজকেই তারিখ ঘোষণা করুক। সবক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অধিকারের বেলায় শুভঙ্করের ফাঁকি আমরা লক্ষ্য করি। লক্ষ্য করছি আজকে এত গুরুত্বপূর্ণ মিটিং কিন্তু সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত নেই।’

শিক্ষার্থীদের এসকল প্রশ্নে তোপের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।
আগামী সকল সভা সব ছাত্রনেতাদেরকে নিয়ে করার আশা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আজকের সভাটা জরুরী এবং প্রাথমিক। আমরা সকল ছাত্রনেতাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। তবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবো বলে আশা করছি।’

প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘দীর্ঘ ২৭ বছর জাকসু নির্বাচন বন্ধ রয়েছে ফলে নতুন করে জাকসুর আয়োজন করতে হলে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। তবে আমরা এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা জাকসুর আয়োজন করতে পারবো।’

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর  জাবি প্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.